কাপ্তাই হ্রদের কুচুরিপানা পরিচ্ছন্নতায় স্বেচ্ছাসেবি, পর্যটন ব্যবসায়ি, প্রশাসন

89

কাপ্তাই হ্রদকে দখল-দূষণ থেকে রক্ষায় প্রাথমিকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, পুলিশ, এনজিও এবং সামাজিক সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে হ্রদের কচুরিপনা পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করা হয়েছে।
হ্রদকে দখল-দূষণ থেকে রক্ষার প্রাথমিক উদ্যোগ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে যুক্ত হয়েছে জেলা পুলিশ, এনজি ও এবং একটি সামাজিক সংগঠন। গত দু’সপ্তাহ ধরে কাপ্তাই হ্রদ ভাসমান কচুরিপনাসহ বিভিন্ন ধরনের জঞ্জাল পরিস্কারে রাঙামাটির স্বেচ্ছাসেবক ও পর্যটন শিল্পের উদ্যোক্তা গরবা রেস্টুরেন্টের পরিচালক এবং হ্রদের জলাশয় পরিস্কার কমিটির সমন্বয়ক বাদশা ফয়সালের নেতৃত্বে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে। রবিবার কাপ্তাই হ্রদের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানের ৪র্থ ধাপে অংশ গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও ক্রাইম) মোঃ ছুফি উল্লাহ, বিভিন্ন দপ্তরের লোক জন, রাজনৈতিক সংগঠন ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা।
এ বিষয়ে পর্যটক উদ্যোক্তা ও গরবা রেস্টেুরেন্টের নির্বাহী পরিচালক মো.বাদশা ফয়সাল বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম হ্রদকে বাঁচাতে রাঙামাটির সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে সাথে নিয়ে কাপ্তাই হ্র্রদের পরিচ্ছন্নতার কাজ করছি। সকলের এগিয়ে আসা উচিত। কাপ্তাই হ্রদ বাঁচলে এখানের পর্যটন শিল্পও বাঁচবে। কাপ্তাই হ্রদ নিয়ে আমাদের আরো বেশি বেশি ভাবতে হবে।
সামাজিক সংগঠন ’হৃদয়ে বাঘাইছড়ি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী মো.মাহাদুল হাসান সোহাগ বলেন, স্বেচ্ছাসেবকরা নোরাং পানি থেকে কচুরাপানা, আগাছাসহ সব ধরনের জঞ্জাল পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে দেখে আমি নিজেও এ কাজে অংশ নিয়েছি। কাপ্তাই হ্রদ আমাদের সম্পদ আর পর্যটন শিল্প আমাদের বেকার সমস্যা সমাধান করবে। সুন্দর রাঙামাটি গড়তে একঝাঁক স্বেচ্ছাসেবীর সাথে কাজ করতে পেরে আমি আনন্দিত ও গর্বিত।