কাপ্তাইয়ে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস প্রশাসনের তৎপরতা

43

কাপ্তাইয়ের ঢাকাইয়া কলোনী, লক গেইট, শিল্প এলাকা, মুরগির টিলা, ওয়াগ্গা মুরালীপাড়া, কুকিমারা রাইখালীর নারানগিরি, চন্দ্রঘোনার বারঘোনিয়া সহ ৫ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছে প্রায় ৫’শতাধিক পরিবার। গত তিন বছর পূর্বে এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত পরিবারগুলোর মধ্যে ১৮ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে পাহাড় ধসের কবলে পড়ে করুণ মৃত্যুর শিকার হতে হয়েছে। এদিকে বর্ষার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারসমূহকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে দেখা গেছে প্রশাসনকে।
পাহাড় ধসের কবলে পড়লে যে শুধু একজন ব্যক্তির ক্ষতি ও প্রাণহানি হবে, তা নয়। পাশাপাশি গোটা পরিবারে নেমে আসবে হতাশা। সমাজেও এক ধরনের অস্থিরতার সৃষ্টি হবে। তাই আসন্ন বর্ষার সময় পূর্বের ন্যায় আর বাড়ি-ঘরে অবস্থান না করে সকলকে আগে ভাগে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিতে হবে। এতে পাহাড় ধসে মৃত্যুঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। আশ্রয় নেওয়া পরিবারসমূহের জন্য আশ্রয় কেন্দ্রে পর্যাপ্ত খাবার ও থাকার ব্যবস্থার কথাও জানান তিনি। অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত কোন পরিবার যদি আশ্রয়কেন্দ্রে না যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
এদিকে কাপ্তাইয়ে বর্ষার সময়ে ৫ ইউপি কার্যালয়, বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে অস্থায়ীভাবে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরমধ্যে কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয় এবং চন্দ্রঘোনা ইউপি কার্যালয়ে বেশি মানুষকে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। এসময় সরকারি ভাবে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা পাওয়ার পাশাপাশিও এসব ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসতে দেখা গেছে। সম্প্রতি (২৯ এপ্রিল) কাপ্তাইয়ের নতুন বাজার, লক গেইট ও ঢাকাইয়া কলোনীতে গিয়ে বর্ষার সময় পাহাড় ধসে প্রাণহানি রোধে সকলের নিরাপত্তার স্বার্থে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে উদ্বুুদ্ধকরণ ও লিফলেট বিতরণ কালে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কাপ্তাই থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নূরুল আলম, কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুর লতিফ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি।