কাপ্তাইয়ে নদীতে ডুবে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ২

38

কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নদীতে ডুবে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নদীতে ডুবে যাওয়া অপর এক যুবক নিখোঁজ রয়েছেন। কাপ্তাই ও চন্দ্রঘোনা থান সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার খান বাড়ির আরিফ খান গতকাল বৃহস্পতিবার স্বপরিবারে কাপ্তাই বেড়াতে আসেন। বিকেলে তার ছেলে আনোয়ারুল আরেফিন অনু (১৯) ও চকবাজার বাদুরতলার মো. কায়কোবাদের ছেলে হামেদ হাসান (৩০) গোসল করতে কর্ণফুলীতে নেমে তলিয়ে যান।
ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয়রা কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস, সিভিল ডিফেন্স এবং নৌ-বাহিনীর ডুবুরী দলকে খবর দেন। পরে বিএনের শহীদ মোয়াজ্জেম ঘাঁটির লে. কর্নেল কবির উদ্দিনের নেতৃত্বে কাপ্তাই নৌ-বাহিনীর ডুবুরী দল উদ্ধার অভিযান চালিয়ে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আনোয়ারুল আরেফিনের মরদেহ উদ্ধার করে। কিন্তু এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭টা) হামেদ হাসান নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল, কাপ্তাই থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মো. নূর, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবি প্রমুখ।
অন্যদিকে, চিৎমরম মুসলিম পাড়ায় বৈদ্যুতিক খুঁটির ত্রæটি সারাতে গিয়ে ঘটনাস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন মো. ইকবাল হোসেন কালু (১৬)। সে মুসলিম পাড়ার মো. সিরাজুল ইসলাম প্রকাশ বার্মাইয়া সিরাজের ছেলে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খ্রিস্টিয়ান হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিৎমরমের সাবেক ইউপি সদস্য মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, মো. ইকবাল হোসেন কালু পারিবারিক কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছেন।
কাপ্তাই থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মো. নূর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিকেল সাড়ে তিনটায় শিলছড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে। অন্যদিকে, চন্দ্রঘোনা থানা অফিসার ইনচার্জ আশ্রাফ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি চিৎমরম মুসলিম পাড়া ঘটনার কথা স্বীকার করেন।