কানাডায় কর্মক্ষেত্রে ধর্মীয় পোশাকে নিষেধাজ্ঞা

21

কানাডার কুইবেক অঞ্চলের সরকারি কর্মচারীরা কর্মক্ষেত্রে ধর্মীয় পোশাক পরতে পারবেন না। সেখানে সম্প্রতি এমন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। ফলে, কানাডার কুইবেক অঞ্চলের আইনজীবী, শিক্ষক, নার্স, ডাক্তার থেকে বাস চালক বা সরকারি আমলারা কাজের সময় হিজাব বা পাগড়ির মতো কোনো ধর্মীয় পোশাক পরতে পারবেন না। সম্প্রতি চালু হওয়া এই নিষেধাজ্ঞাকে ঘিরে জন্ম নিয়েছে বিতর্ক, আলোচনায় উঠে আসছে ধর্মচর্চার স্বাধীনতা বিষয়ে নানা দিক।
কুইবেক অঞ্চলে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি রয়েছে শিখ, ইহুদীদের বসবাস। যারা দৈনন্দিন জীবনে পরেন বিশেষ কিছু ‘ধর্মীয় পোশাক’। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক নেলসন ওয়াইসম্যান বলেন, ‘কুইবেকে সবচেয়ে বেশি হারে বাড়ছে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ। ফলে, এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব তাদের ওপরেই পড়বে বেশি।’
বর্তমানে কুইবেকের মোট জনসংখ্যা ৮৩ লক্ষ, যার মধ্যে তিন শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। এমন নিষেধাজ্ঞা চালু হলেও এর বিরোধিতা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেন, ‘আমি ভাবতেই পারি না আজকের দিনে এমন একটা বিদ্বেষী নিয়ম চালু হয়েছে।’
ইতিমধ্যে এই নতুন নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতায় পথে নেমেছেন কুইবেকের বেশ কয়েকটি স্থানীয় খ্রিষ্টান, মুসলমান ও ইহুদীদের সংগঠন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। তবে কুইবেকের প্রধান ফ্রাসোঁয়া লেগল্ট এই নতুন নিয়মকে দেখছেন সাম্যের নজরে। তিনি বলেন, ‘আমার মতে এখন কুইবেকে যারা সরকারি পদে নিযুক্ত, তাদের কোনো ধর্মীয় চিহ্ন বহন করা উচিত নয়। এটাই ন্যায্য ও যুক্তিসম্মত। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যেও এটা দরকার।’