কাদা তুলতে পানিশূন্য হচ্ছে সংসদ লেক

40

লেকের পানির নিচে জমে যাওয়া আড়াই ফুট কাদা অপসারণ এবং নিচে ফাটল আছে কি না, পরীক্ষা করতে এ কাজে হাত দিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। নির্মাণ কাজ শুরুর ৩৭ বছর পর এই প্রথম লেক সংস্কারের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। এর আগে ১৯৯২ সালে একবার লেকের পানি সেচে ফেলা হয়েছিল।
সংসদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) ফজলুল হক বলেন, ‘পানি সেচে ফেলার পর প্রায় আড়াই ফুট কাদা তুলে ফেলা হবে। এরপর আমরা মূল সংস্কারের কাজে হাত দেব’।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সংসদ ভবনের পুরো লেকের ১৫ ফুট বৃত্তাকার একটি অংশ বাদে পুরোটার নিচেই কংক্রিটের মেঝে। খবর বিডিনিউজের
এই সংস্কার কাজে ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে ধরা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামি বর্ষা মৌসুমের আগেই কাজ শেষ করতে হবে। না হলে বৃষ্টিতে লেক আবার ভরে যাবে’।
১৮ একরের সংসদ লেকের পানির মূল উৎস বৃষ্টির পানি। এদিকে পানি সরিয়ে ফেলার আগে সংসদ লেকের মাছ ধরা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। ৬ লাখ টাকায় মাছ ধরার দরপত্র দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে মৎস্য অধিপ্তর সংসদ লেকে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছের পোনা ছাড়ে।
সংসদ ভবনের লেকের মাছ ধরার জন্য আগে টিকেট বিক্রি করতো পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাব। তবে দরপত্র দিয়ে এবার মাছ বিক্রি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা জানান। গতকাল রবিবার সংসদ লেকের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখা গেছে, শক্তিশালী পাম্প দিয়ে লেকের পানি সেচ চলছে। মাছ ধরে ফেলার পর পুরোদমে পাম্প চালিয়ে পানি তুলে ফেলা হবে।
লেকের সংস্কার কাজ সম্পর্কে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘সার্বিক সংস্কার বলতে যা বোঝায়, তাই করা হবে এবার’।
১৯৬১ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের আমলে বর্তমান সংসদ ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সে সময় স্থপতি মাজহারুল ইসলামকে এই ভবনের স্থপতি নিয়োগ করা হয়। তার প্রস্তাবেই লুই আই কান এই প্রকল্পের প্রধান স্থপতি হিসেবে নিয়োগ পান। তার নকশায় তৈরি হওয়া দৃষ্টিনন্দন এই স্থাপনা ১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।