কাতারের সাথে লড়াই করে হারল বাংলাদেশ

37

লড়াকু ফুটবলের পসরা মেলে ধরলো দল। দারুণ কয়েকটা সুযোগও পেল। মিলল না শুধু গোলের দেখা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে শক্তিশালী কাতারের কাছে শেষ পর্যন্ত হারল বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ২-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। বাছাইয়ে টানা দুই ম্যাচ হারল জেমি ডের দল। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল ডের শিষ্যরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই গ্যালারি ছিল কানায়-কানায় ভর্তি। উৎসবমুখর পরিবেশ। রক্ষণ জমাট রেখে শুরুতে দারুণ খেলতে থাকে বাংলাদেশও। সুযোগ পেলে প্রতিআক্রমণে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন কাতারের রক্ষণ ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা ছিল জীবন-ইব্রাহিমদের।
অষ্টম মিনিটে রায়হান হাসানের লম্বা পাস ধরে সাদউদ্দিনের ক্রসে পা ছোঁয়ানোর কেউ ছিল না। পরের মিনিটে কর্নারে ইয়াসিনের হেডের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ডি-বক্সের বাইরে থেকে জামাল ভূইয়ার শট দুরের পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
একটু পর প্রথমার্ধে প্রথম আক্রমণে যায় কাতার। গত এশিয়ান কাপে ৯ গোল করা আলমোয়েজে আলি আবদুল্লাহর শট বাঁক খেলেও বেরিয়ে যায় দূরের পোস্ট দিয়ে। পঞ্চদশ মিনিটে বাঁ দিকে ডি বক্সের ঠিক ওপর থেকে বাসাম হুসামের ফ্রি কিক হেডে ফেরান ইয়াসিন খান।
২৬তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলে সুযোগ তৈরি হয়েছিল কিন্তু বিপলু আহমেদ বলের নাগাল পাওয়ার আগে এক ডিফেন্ডার বিপদমুক্ত করেন। দুই মিনিট পর পিছিয়ে পড়ে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে কাতারের চেয়ে ১২৫ ধাপ পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ। সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে অরক্ষিত থাকা ইউসুফ আব্দুরিসাগ প্লেসিং শটে জাল খুঁজে নেন।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোলবঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। রায়হানের থ্রো ইনের পর ডি-বক্সের জটলার ভেতর থেকে স্বাগতিকদের দুটি প্রচেষ্টা ডিফেন্ডাররা ফেরান গোললাইন থেকে।
৭০তম মিনিটে জীবনকে তুলে নিয়ে মাহবুবুর রহমান সুফিলকে নামান বাংলাদেশ কোচ। পরের মিনিটেই রায়হায়ের থ্রো ইনে ইয়াসিন খানের হেড লাফিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান গোলরক্ষক। এরপর সোহেল রানার ক্রসে ভুটানের বিপক্ষে আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা ইয়াসিনের দুর্বল হেড জমে যায় গোলরক্ষকের গ্লাভসে।
৭৪তম মিনিটে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা সুফিলের ক্রসে জামালের শট এক ডিফেন্ডার হেডে বিপদমুক্ত করেন। এরপর সুফিলের শট ফিস্ট করে ফেরান গোলরক্ষক। চার মিনিট পর ইব্রাহিমের ছোট পাসে বিপলুর শট পোস্টের বাইরে যায়। সমর্থকদের হতাশা আরও বাড়ে।
যোগ করা সময়ে ডি-বক্সের জটলার ভেতর থেকে করিম বৌদিফের লক্ষ্যভেদে হার নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের।
এ নিয়ে কাতারের কাছে টানা চার ম্যাচ হারল বাংলাদেশ। ১৯৭৯ সালে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ১-১ ড্রয়ের পর তিন ম্যাচে যথাক্রমে ৪-০, ৪-১ ও ৩-০ গোলে হেরেছিল দল।