কাগতিয়া মাদ্রাসাকে জঙ্গিমুক্ত করুন

71

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত সমন্বয় কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব অ্যাড. মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ারের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং রাউজানের ত্রাস পীর নামধারী সন্ত্রাসী ভন্ড মুনিরুল্লাহসহ মুনিরিয়া তবলীগের চিহ্নিত উগ্রবাদি জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল রবিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা। হাটহাজারী উপজেলা চত্বরে মাস্টার মুহাম্মদ ইছমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত সমন্বয় কমিটির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক এমএ মতিন। মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন এবং মুহাম্মদ আমান উল্লাহ আমানের যৌথ সঞ্চালনায় মিছিলের উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সচিব অধ্যক্ষ আল্লামা তৈয়ব আলী।। প্রধান বক্তা ছিলেন যুবসেনা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম। বিক্ষোভ মিছিলটি হাটহাজারীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইমামে আহলে সুন্নাত হযরত আজিজুল হক শেরে বাংলা (রহ.) এর মাজার প্রাঙ্গণে এসে সমাপ্ত হয়।
এসময় এম এ মতিন বলেন, বাংলাদেশে ইসলামের শান্তির বাণী প্রচার-প্রসার করেছেন মহান আউলিয়া কেরাম ও হক্বানী পীর-মাশায়েখ। দেশে সূফিবাদী পীর-আউলিয়ারা গড়েছেন অহিংস ইসলামী মতাদর্শ ভিত্তিক সম্প্রীতির সমাজব্যবস্থা। এ অহিংস ইসলামধর্মকে কলঙ্কিত করছে একশ্রেণির উগ্রবাদি ভন্ডপীর। তৎমধ্যে অন্যতম রাউজানের কাগতিয়ার পীর নামধারী এক সন্ত্রাসী প্রতারক মুনিরুল্লাহ। যার ক্যাডারবাহিনীর অত্যাচারে ক্ষুব্ধ হয়ে সর্বস্তরের জনতা আজ গণআন্দোলনে নেমেছে। মুনিরিয়া যুব তবলীগের মত সন্ত্রাসী-জঙ্গিগোষ্ঠীর কারণে সূফীবাদ ও ত্বরিকত কলংকিত হচ্ছে। তারা রাউজানকে জিম্মি করে দীর্ঘদিন যাবত মানুষের জমি জবর দখল থেকে শুরু করে তাদের ভন্ডামির বিপক্ষদের খুন-জখম-অপহরণসহ এমন কোনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বাকি নেই যা তারা করেনি। যদিও বিগত কয়েকমাস পূর্বে তাদের বেপরোয়া সাহস বৃদ্ধির অনিবার্য পরিণামে আওয়ামী লীগ নেতা মুজাম্মেল হক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আনোয়ারের উপর হামলার প্রেক্ষিতে, রাউজানের এমপি মহোদয়ের তাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান পেয়ে সর্বস্তরের রাউজানবাসী একমঞ্চে এসে কাগতিয়ার ভন্ডামী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লাগাতার দুইমাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। একাত্তরে এই ভন্ড পীর কর্তৃক পরিচালিত কাগতিয়া এশাতুল উলুম মাদ্রাসায় যে রাজাকারের ঘাঁটি ছিল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। এই রাজাকার ক্যাম্প কাগতিয়া মাদ্রাসা দখলের জন্য ১৯৭১ এর ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সম্মুখযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল। আর এ যুদ্ধে রাজাকারদের গুলিতে শহীদ হন রাউজানের বীর মুক্তিযোদ্ধা মুসা খাঁন। তারা জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারদের সাথে নিয়ে খুন, গুম, অপহরণ, রগকাটা, জবর-দখলসহ নানা অপকর্ম করে রাউজানকে জিম্মি করে রেখেছিল এতদিন। এখন মানুষ প্রশাসনের নিরপেক্ষতার আশ্বাস পেয়ে যখন তাদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে এবং ভুক্তভোগীরা মামলা করতে এগিয়ে আসছে, তখন তারা পাল্টা মিথ্যা মামলা দায়ের করে মামলার বাদী, সাক্ষী এবং আন্দোলনকারীদের দমানোর কৌশল নিয়েছে। তারা অ্যাড. মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ারের দায়ের করা রাউজান থানার মামলায় প্রেক্ষিতে এখন তাঁকেই প্রধান আসামি করে এবং রাউজানের আহলে সুন্নাতনেতা অধ্যক্ষ মৌলানা ইলিয়াস নূরীকে ২নং আসামি দিয়ে তাদের রাউজান মোহাম্মদপুরস্থ অফিস লুট ও চুরির মত হাস্যকর মিথ্যা অভিযোগ করে। তাই এই জঙ্গি সংগঠন নিষিদ্ধসহ ভÐপীর মুনির ও তার সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে ৭১’র রাজাকার ক্যাম্পখ্যাত কাগতিয়া মাদ্রাসাটি এই জঙ্গিদের হাত থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আনার, কিংবা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি মেনে এই কাগতিয়া মাদ্রাসাকে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি ওবাইদুল মোস্তাফা কদমরসুলী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইয়াছিন হোসাইন হায়দরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ এনামুল হক সিদ্দিকী, মঈনুল আলম চৌধুরী, মাওলানা মুহাম্মদ অলি উল্লাহ, অধ্যাপক মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মুহাম্মদ আখতার হোসেন, মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলীল, মুহাম্মদ আবুল মনছুর, মুহাম্মদ শাহজাহান, আজিম উদ্দিন আহমেদ, ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় গ্রন্থণা ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ মাছুমুর রশিদ কাদেরী, মীর মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, হোসাইন মুহাম্মদ এরশাদ, ফয়সাল করিম চৌধরী, ছাত্রনেতা মুহাম্মদ মফিজুর রহমান, মুহাম্মদ হারুন সওদাগর, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, মুহাম্মদ উসমান গণি, আবুল হাশেম, মুহাম্মদ কামাল পাশা, কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন, ইদ্রিস হায়দার, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ছাত্রনেতা আজাদ রানা, মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, নূরুল আমিন হোসাইনী, মামুনুর রশিদ জাবের, মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন মামুন, অহিদুল আলম, নজরুল ইসলাম, মুহাম্মদ ছগীর, মুহাম্মদ ফরিদুল আলম, মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির ফয়েজ, মুহাম্মদ শহীদুল আলম, মুহাম্মদ আলী আকবর, মুহাম্মদ তারেক, মুহাম্মদ লোকমান হোসেন, মুহাম্মদ আবু মুসা, মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন, মুহাম্মদ সাখাওয়াত, মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন রুবেল প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি