কাগতিয়া দরবার শরীফ ও কাগতিয়া মাদরাসা রাউজান তথা দেশবাসীর সম্পদ ও গৌরবের বিষয়

72

কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফ এর প্রতিষ্ঠাতা হযরত গাউছুল আজম (রাঃ) সুদীর্ঘকাল যাবত নিজের শ্রম, মেধা ও চোখের পানির বিনিময়ে কাগতিয়া মাদরাসাকে দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাদরাসায় রূপদান করেছেন এবং তারই সুযোগ্য একমাত্র প্রতিনিধি ও কাগতিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী তারই ধারাবাহিকতায় দক্ষতার সহিত মাদরাসা ও দরবার শরীফ পরিচালনা করে যাচ্ছেন। যাঁর ফলশ্রুতিতে কাগতিয়া মাদরাসা দেশ- বিদেশে সকলের কাছে সুপরিচিত ও সমাদৃত। বিগত দিনে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্নস্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বরা কাগতিয়া মাদরাসার বিভিন্ন সভায় এসে হাজার হাজার জনগণের সামনে যা বলে গিয়েছেন। এছাড়াও গাউছুল আজম (রাঃ) কাগতিয়া দরবার শরীফ ও ও অরাজনৈতিক সংগঠন মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি প্রতিষ্ঠিত করেছেন। যার ছায়াতলে এসে লক্ষ লক্ষ মানুষ সুপথের সন্ধান পেয়েছেন। যুব সম্প্রদায় পেয়েছে সত্যিকারের মানুষ হবার শিক্ষা। সাম্প্রতিককালের ঘটনা বিশ্লেষন করলে যা বুঝা যায়। রাউজানে যে নারকীয় তান্ডবলীলা সংঘটিত হচ্ছে যা ইতিহাসে চরম ঘৃন্য নির্লজ্জ ঘটনা বলে বিবেচিত হবে। এহেন খারাপ পরিস্থিতির মাঝে সকলে ধৈর্য্য ও সহনশীলতার যে পরিচয় দিয়েছে তা সকলের কাছে দৃশ্যমান। যে গাউছুল আজম এর অবদানের ফলশ্রæতিতে অশান্ত রাউজান শান্ত হয়েছে, পথহারা যুবকেরা এসে তওবা করে দেশ ও জাতির অগ্রগতিতে অবদান রাখছে। অত্যন্ত হতাশার বিষয় হচ্ছে সেই তরিক্বত ও সংগঠনের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র। রাউজানের প্রত্যেকটি এলাকায় চলছে নিরীহ মানুষের বাড়ি ঘর ভাংচুর, লুটপাট, শারীরিক নির্যাতন, মানসিক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে স্বীকারোক্তি আদায় এবং মিথ্যা মামলা সাজানোর মাধ্যমে দেশবিরোধী রাজাকারদের স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হিসাবে পরিচয় করার নাটক। কাগতিয়া মাদরাসা স্বীয় শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রতিবছর গৌরবোজ্জল ফলাফলের মাধ্যমে দেশের মধ্যে অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্বীকৃত। যেখানে প্রতিদিনের কার্যক্রম শুরু হয় জাতীয় সংগীত পাঠের মধ্য দিয়ে, এছাড়া বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস, শিশু দিবস, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস সহ অন্যান্য দিবসসমূহ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়। এরকম একটা ঐতিহ্যবাহী মাদরাসার ইতিহাসে কলঙ্ক লেপনের জন্য স্থানীয় গডফাদারের মদদে তথাকথিত রাউজান জমিয়তুল মোদার্রেছিনের ব্যানারে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের নির্দিষ্ট সময়ের পরীক্ষা স্থগিত করে মাদরাসার শিক্ষকদের হুমকির মুখে বাধ্য করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ও তাদের অভিভাবকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে প্রখর রোদের মধ্যে দাড় করিয়ে গাউছুল আজমের অশ্রæসিক্ত মাদরাসায় গাউছুল আজমের বিরুদ্ধে ও মাদরাসার স্বনামধন্য অধ্যক্ষ মহোদয়ের বিরুদ্ধে রাঙামাটি সড়কে যে প্রতারণামূলক মানববন্ধন করেছে তার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আদেশ হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে কোন মানববন্ধন বা কাউকে অভ্যর্থনা দেওয়া না হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ আদেশের প্রতি যারা বিন্দু পরিমান শ্রদ্ধা প্রদর্শন না করে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে তাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ এ আচরণ নিঃসন্দেহে দুষ্কৃতিকারীদের পর্যায়ে পড়ে। এ থেকে বুঝা যায় তাদের হীন উদ্দেশ্যের পিছনে কি রয়েছে। উক্ত মানববন্ধনে যে আক্রমণাত্মক ও উস্কানিমূলক অশ্লীল ও মিথ্যা বক্তব্য দেওয়া হয়েছে তা কোন সুনাগরিকের ও ভদ্র লোকের কাজ ও ভাষা হতে পারেনা। উল্লেখ্য কোন প্রতিষ্ঠানের ভিতরে ও বাইরে যেখানে হোক না কেন, কিছু ব্যবহার করতে হলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের অনুমতির প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু এসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কাগতিয়া মাদরাসার সন্মুখস্থ মাঠে যে প্রহসনমূলক সমাবেশ আয়োজন করা হয়, যেখানে পর্দাশীল মা বোনসহ এলাকার জনসাধারণকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাদেরকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে আসতে বাধ্য করে। উক্ত সমাবেশকে পুঁজি করে মাদরাসার অভ্যন্তরে শিক্ষা কার্যক্রমকে প্রভাবিত করার কু-মানসে রাউজানের প্রায় দুই শতাধিক উশৃঙ্খল লোকজন নিয়ে একটি কুচক্রী মহল মাদরাসার অফিস কক্ষে প্রবেশ করে এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের জোরপূর্বক বিভিন্ন মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করে। যা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওসহ ছড়িয়ে দেয়। বর্তমান সময়ে দেশে যে শান্তিময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাকে ব্যাহত করার লক্ষ্যে কিছু চিহ্নিত কুচক্রী মহল প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। কাগতিয়া মাদরাসা এবং মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি দুটি বিষয় একেবারে আলাদা কিন্তু দুটিকে এক করে যে মহলটি অশুভ ফায়দা হাসিলের পায়ঁতারা করছে তা তীব্র ঘৃনার জন্ম দিচ্ছে। এ সন্ত্রাসী বাহিনীর দৌরাত্ম্য এতই যে, তাদের খারাপ কাজগুলোকে আড়াল করার জন্য দরবার শরীফে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙ্গে তাদের নোংরা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এতে সন্দেহ হয় যে, তারা রাতের আঁধারে দরবার শরীফ অভ্যন্তরে বিভিন্ন অবৈধ জিনিস রেখে মিথ্যা মামলা সাজাতে পারে। উল্লেখ্য যে, কাগতিয়া দরবার শরীফ এর পক্ষ থেকে প্রশাসনকে দফায় দফায় অবহিত করা হলে প্রশাসন এ তান্ডবলীলা বন্ধের ব্যাপারে আশ্বাস প্রদান করে কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারণে রাউজানে চলমান তান্ডবলীলার অবসান হচ্ছেনা। যে স্বপ্ন নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি তার সুফল ভোগ করা প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার। কিন্তু বর্তমানে এমন একটি গোষ্ঠী যারা স্বাধীনতাবিরোধীদের ছত্রছায়ায় ছিল তারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হিসাবে নিজেদের পরিচয় দিলেও তাদের কার্যক্রমে পুরনো আচরনের পুুনারাবৃত্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কার্যকর ভ‚মিকা দেশবাসীর প্রত্যাশা।