কাউখালীতে বিশেষ আইন শৃংখলা সভা জেলা প্রশাসকের

39

৩০ ডিসেম্বর একদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কাউখালীর আইন শৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে মতবিনিময় সভা করেছে কাউখালী উপজেলা প্রশাসন। এ উপলক্ষে বুধবার দুপুর ১টায় অফিসার্স কল্যাণ ক্লাবে আয়োজন করা হয় বিশেষ আইনশৃংখলা সভার । এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার এ কে এম মামুনুর রশিদ।
জেলা প্রশাসক বলেন, রাঙামাটি ২৯৯ আসনের নির্বাচনকে প্রশাসন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। রাঙামাটির কোন কেন্দ্র কারো দখলে থাকার সুযোগ দিবেনা প্রশাসন। প্রতিকেন্দ্রে সব দলের ভোটার ও এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাঙামাটির ২০৩ কেন্দ্রেই পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন থাকবে। তিনি আরো বলেন, বাপ দাদার সম্পত্তি মনে করে কোন গোষ্ঠি কেন্দ্র দখল ও ব্যালট ছিনতাইয়ের মত ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করবেন না। এ নির্বাচনে প্রশাসন তা হতে দেবেনা।
তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বাজায় রেখে নির্বাচনী মাঠে কাজ করুন। ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে প্রশাসন সে ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছে। নির্বাচন ঘিরে কেউ বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে যে দলেরই হোক প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, কোথাও কোন ঘটনা ঘটলে সে বিষয়ে দায়সারা অভিযোগ না করে সরাসরি বিশৃংখলা সৃষ্টিকারীদের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করলে প্রশাসন তাৎক্ষনাৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পোস্টার ছেঁড়ার মত ছোট খাটো কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার অভিযোগ ছাড়া কাউখালীর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রয়েছে বলেও সভায় তিনি জানান। সভায় পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ বিএনপি একে অপরকে দোষারোপ করলেও সরকার দলের পক্ষ থেকে মূলত অভিযোগ আনা হয় জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)’র বিরুদ্ধে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ সরকার ও যুগ্ম সম্পাদক শামছুদ্দোহা চৌধুরী তাদের নেতা কর্মীদের জেএসএস কর্তৃক মোবাইলে বিভিন্ন প্রকার হুমকির কথা তুলে ধনের জেলা প্রশাসকের কাছে।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবির, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম চৌধুরী, ওসি মো. মনজুরুল ইসলামসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তারা।