কাউকে জোর করে প্যারোল দেওয়া যায় না : তথ্যমন্ত্রী

40

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে দন্ডি হয়ে কারাগারে আছেন। আদালতে জামিন পাওয়াই তার মুক্তির পথ। আর প্যারোলের বিষয়টি হচ্ছে— দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিজে চাইলেই কেবল তা বিবেচনার সুযোগ থাকে। কাউকে তো জোর করে প্যারোল দেওয়া যায় না। সরকার এমন কোনও বেকায়দায় নেই যে, আদালতে দন্ডিত খালেদা জিয়াকে যেকোনও উপায়ে মুক্তি দিতে হবে। বিএনপি নেতারা কেন অবান্তর কথা বলেন, তা বোধগম্য নয়।’
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সেখানে তিন দিনব্যাপী ‘রূপসী বাংলা জাতীয় ফটো প্রদর্শনী ১৪২৬’ উদ্বোধনের পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত বিএনপির নেতাদের সংসদে যোগ দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যারা তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে, তারা সংসদে তাদের কথা বলার জন্যই করেছে, শুধু সংসদে না যাওয়ারর জন্য নয়। শপথ নেওয়া তাদির দায়িত্ব এবং কর্তব্য। আমি মনে করি তারা সে দায়িত্ব পালন করবেন। আর এতে বিএনপিরই মঙ্গল।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা (বিএনপি) রাজপথে যে কথা বলছেন, সেটা তারা সংসদে গিয়েও বলার সুযোগ পাবেন। আমি তাদের আহ্বান জানাবো সংসদে যোগ দেওয়ার জন্য। তারা নির্বাচিত হয়েছেন যোগ দেওয়ার জন্য, সেটি না করে, শপথ না নিয়ে, ভোটদাতাদের অবজ্ঞা করা অনুচিত বলেই আমি মনে করি।’
গত এক দশকে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশের কথা তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দশ বছরে পত্রিকার সংখ্যা ৬০০ থেকে দ্বিগুণ বেড়ে ১২শ হয়েছে। টেলিভিশনের সংখ্যা তিনগুণ বেড়েছে এবং সংবাদ প্রকাশে কোনও সেন্সরের ভেতর দিয়ে যেতে হয় না। দেখা যাবে, অন্য সংস্থার র‌্যাংকিংয়ে গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ভালো।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘‘আমি বেলজিয়ামে বহু বছর ছিলাম, সেখানে মাস্টার্স ও পিএইচডি করেছি। সেখানে ভুল সংবাদ বা কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করলে জরিমানাসহ নানা শাস্তির বিধান রয়েছে। আর ইংল্যান্ডের দেড়শ বছরের পুরনো পত্রিকা ‘নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ একটি ভুল সংবাদের জন্য জরিমানা পুরো না দিতে পেরে বন্ধই হয়ে গেছে। আমাদের দেশে এমন কোনও ঘটনা এখনও ঘটেনি।’’
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, শিল্পকলা একাডেমির সচিব ড. কাজী আসাদুজ্জামান, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা।
এবারের রূপসী বাংলা আলোকচিত্র প্রদর্শনীর প্রতিযোগিতায় আব্দুল্লাহ অপু, জাকির হোসেন চৌধুরী ও সোহেল আহমেদ যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার অর্জন করেন।