কর্মের মাঝে বেঁচে থাকবেন মুক্তিযোদ্ধা স্বপন ভট্টাচার্য্য

71

মহান মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় সৈনিক ও শিক্ষাবিদ প্রয়াত স্বপন কুমার ভট্টাচার্য্যরে ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রয়াতের স্মৃতিতে নির্মিত ভাস্কর্যের উন্মোচন ও স্মরণসভা গত ৩ মে বাঁশখালীর বাণীগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। ১ম পর্বে আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন করেন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা স্বপন কুমার ভট্টাচার্য্যরে সহধর্মিনী মঞ্জু ভট্টাচার্য্য। ২য় পর্বে স্মরণসভা উদ্যাপন পরিষদের আহবায়ক লে. কর্নেল তপন মিত্র চৌধুরীর (অব.) সভাপতিত্বে স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার জাতীয় ডেস্ক প্রধান অনুপ খাস্তগীর। অতিথি ছিলেন ছিলেন কলামিস্ট কামরুল হাসান বাদল। প্রধান আলোচক ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম।
স্মরণসভা উদ্যাপন পরিষদের সদস্য সচিব কে এম সালাহ্উদ্দীন কামালের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মুুুুক্তিযোদ্ধা লায়ন অসিত সেন, মুক্তিযোদ্ধা আহমদ ছফা, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ভেদু, মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসমাইল, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি বাঁশখালী উপজেলার সভাপতি তাপস কুমার নন্দী, সমাজসেবক রঞ্জন প্রসাদ দাশগুপ্ত, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রদ্যুৎ মিত্র চৌধুরী, স্মরণিকার প্রকাশনা সম্পাদক নির্মল পাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রয়াত স্বপন কুমার ভট্টাচার্য্যরে জীবনকাব্য নিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থ ‘হৃদ মাঝারে রাখবো’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ। সভায় প্রয়াত স্বপন ভট্টাচার্য্য সহ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার সদ্গতি কামনায় এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো মানে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি সম্মান জানানো। তাঁরা জীবন বাজি রেখে এদেশের মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আহবানে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে লড়ে বিজয়ী হয়েছিলেন বলেই আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। প্রয়াত স্বপন ভট্টাচার্য্য ছিলেন একজন মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় সৈনিক। পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন গুণী শিক্ষাবিদও। তিনি সমাজে তাঁর কর্মের মাঝে বেঁচে থাকবেন। সমাজ বিনির্মাণে গুণীজনরা হলেন বাতিঘর। সে রকম এক মহানুভব ব্যক্তি ছিলেন প্রয়াত স্বপন ভট্টাচার্য্য। স্বপন কুমার এদেশের মানুষের স্মৃতির মণিকোঠায় চির অ¤øান হয়ে থাকবেন। বিজ্ঞপ্তি