কর্মী সৃষ্টির কারিগর ছিলেন এমএ মান্নান

29

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেকমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, এমএ মান্নান একজন শুদ্ধাচারী রাজনীতিক ছিলেন। তিনি ছিলেন রাজনীতিতে সৃজনশীল কর্মী সৃষ্টির কারিগর। তাঁর আদর্শিক দায়বদ্ধতা আমাদেরকে প্রকৃত রাজনীতিক হিসেবে গড়ে ওঠার প্রেরণা যুগিয়েছে।
মোশাররফ বলেন, ব্যক্তি জীবনে একজন ভালো মানুষ হিসেবে এমএ মান্নান সমাজে সুপরিচিত ছিলেন। তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এমপি-মন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু মন্ত্রী থাকা সত্বেও তিনি কোন অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েননি। তাঁর মত ত্যাগী নেতার আজ অনেক অভাব।
গতকাল সকালে মরহুম এমএ মান্নানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মরহুমের দামপাড়াস্থ কবর প্রাঙ্গণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় কোন বিকল্প নেই। তাই এখন থেকে আমাদেরকে ঘরে ঘরে প্রস্তুতি গড়ে তুলতে হবে এবং এমএ মান্নানের রাজনৈতিক আদর্শ থেকে আমাদেরকে সামনের দিকে এগুতে হবে।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম।অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, এমএ মান্নান আপাদমস্তক একজন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তিনি একজন নির্লোভ ও নিরহংকারী রাজনীতিক নেতা ছিলেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এমএ মান্নানকে খুব কাছে থেকে দেখেছি। রাজনীতিতে তিনি সুদক্ষ কর্মী গঠনে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। তিনি অত্যন্ত রাজনৈতিক দূরদর্শী নেতা ছিলেন। যে কোন সংকটে তিনি খুব সহজেই নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে পারতেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মরহুমের জ্যেষ্ঠ সন্তান মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল লতিফ টিপু, বাগমনিরাম ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এড. সুনীল কুমার সরকার, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ রশিদ, উত্তর জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মো. জসিম উদ্দিন, নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা শফর আলী, শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, উত্তর জেলার কোষাধ্যক্ষ এহসানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, নগরের কোষাধ্যক্ষ আবদুস ছালাম, নগর আওয়ামী লীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, হাজী জহুর আহমদ, আবদুল আহাদ, ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য এমএ জাফর, আবুল মনসুর, সৈয়দ আমিনুল হক, শেখ শহীদুল আনোয়ার, বখতিয়ার উদ্দিন খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, ড. নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, মো. জাবেদ, যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক, থানা আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ আহমদ, সাহাব উদ্দিন আহমদ, আনসারুল হক, রেজাউল করিম কায়সার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা হাজী আলী বক্স, আতিকুর রহমান আতিক, আবছার উদ্দিন চৌধুরী, সিদ্দিক আহমদ, আবুল কাশেম, আবদুর রহমান, মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, শেখ সরওয়ার্দী, আবুল বশর, সৈয়দ মো. জাকারিয়া, ইকবাল হাসান, মোসলেম উদ্দিন, আবু তৈয়ব সিদ্দিকী, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, ইকবাল চৌধুরী, দিদারুল আলম মাসুম, নাজিম মজুমদার প্রমুখ।
এছাড়া শ্রমিকলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে মরহুমের কবরস্থ জামে মসজিদে মিলাদ মাহফিল শেষে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মরহুমের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি