কর্ন ফ্লাওয়ারের কৌটায় রঙ সোডা অ্যামোনিয়া!

35

পবিত্র রমজানে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে হাটহাজারী পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন হোটেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চালিয়ে কর্ন ফ্লাওয়ারের কৌটায় রঙ, সোডা ও অ্যামোনিয়ার মতো মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক উপাদান পাওয়া যায়। পরটা, বেগুনি ইত্যাদি ফোলাতে এসব ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহার করায় এক হোটেল মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমিন।
সূত্র জানায়, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে শনিবার দুপুরে ইউএনও রুহুল আমিন, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে হোটেল মনিটরিংয়ের জন্য বের হন। এসময় পৌরসভার হাটহাজারী বাজারস্থ চৌধুরী হোটেল নামে একটি হোটেলে প্রবেশ করা মাত্রই কর্মচারীরা তাড়াহুড়ো করে কিছু জিনিসপত্র বাইরে ডাস্টবিন এ ফেলে দেন। ডাস্টবিন থেকে সেগুলো সংগ্রহ করলে সেখানে অ্যামোনিয়া, সোডা, লাল রঙ এবং পোড়া তেল পাওয়া যায়।ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, গত শুক্রবার ব্যবসায়ীদেরকে ইফতার সামগ্রীতে রঙ ব্যবহার না করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। তারপরও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা এসব রঙ ব্যবহার করছেন।
তিনি জানান, ওই হোটেলের কর্মচারীরা মালিকের কথামত কর্ন ফ্লাওয়ারের কৌটায় ক্ষতিকর অ্যামোনিয়া, সোডা, লাল রঙ ভরে সেগুলো ইফতারি তৈরিতে ব্যবহার করছিলেন। এ অপরাধে হোটেল মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে এ মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মনিটরিং করতে উপজেলা সদর, সরকার হাট, কাটিরহাট এলাকায় আরও একটি অভিযান পরিচালনা করে সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সম্রাট খিসা। এসময় তিনি বেশি দামে কলা বিক্রি করা দায়ে আনুমানিক ১ হাজার পিস কলা জব্দ করেন। পরে জব্দকৃত কলা ফরহাদাবাদস্থ শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুর্নবাসন কেন্দ্র এবং সরকারি শিশু পরিবারের বিতরণ করেন।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সম্রাট খিসা বলেন, প্রতি ডজন বাংলা কলা ১৫০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে খবর পাই। বাজারে গিয়ে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। রমজান মাসে বাংলা কলা ডজন প্রতি ১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করার জন্য বলা হয়েছে। অভিযান চলাকালে এক বিক্রেতা আসলে দাম কমিয়ে বলে প্রতারণার চেষ্টা করে। এসময় ধরা পড়ার ভয়ে সে পালিয়ে গেলে তার কলা জব্দ করা হয়। পরে এসব কলা শিশু প্রশিক্ষণ ও পুর্নবাসন কেন্দ্রে বিতরণ করা হয়।