কর্নাটকে ধরাশায়ী বিজেপি

39

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি দেশটির কর্নাটক রাজ্যের কংগ্রেস সাংসদদের মধ্যে ফাটল ধরাতে অভিনব পদ্ধতির আশ্রয় নিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সেই পদ্ধতির কথা প্রকাশ হতেই কার্যত ধরাশায়ী অবস্থা বিজেপির। ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে ভারতীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, কর্নাটকের কংগ্রেস সাংসদদের ফোন দিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে তাদের দলে যোগ দিতে বলা হচ্ছিল। সেখানে তাদের বলা হয় যে, ‘১১ জন ইতিমধ্যেই এসে এসেছে। আপনি হবেন ১২তম। চলে আসুন।’ তবে পরে যখন কংগ্রেস সাংসদরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন। তখন তারা জানতে পারেন যে সবাইকেই একই কথা বলা হয়েছে। এরপরই তারা বিজেপির এই প্রতারণার ফাঁদ ধরে ফেলেন।
এরফলে লোকসভা ভোটের আগে কর্নাটকে সরকার উল্টে দিতে ঘুঁটি সাজানোর অবশ্য সব আয়োজন বিফল বিজেপির। এরপরই কর্নাটকসহ গোটা ভারতে আবারো ইমেজ সঙ্কটে পড়েছে নরেন্দ্র মোদির দল। সম্প্রতি নিজেদের দলের সাংসদদের মধ্যে যেন ফাটল না ধরে এজন্য ১০৪ জনকে দিল্লির পাশেই হরিয়ানার বিলাসবহুল হোটেলে একসঙ্গে রেখেছিল বিজেপি। তাদের যেসব ঘরে রাখা হয়েছিল তার প্রত্যেকটির ভাড়া দৈনিক ৩০ হাজার টাকা। এই ইস্যুতে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে বিজেপি। তবে শেষপর্যন্ত তাদের টাকা আর পরিকল্পনা দুটোই বিফলে গেছে। কর্নাটকের কংগ্রেস সভাপতি দীনেশ গুন্ডু রাও বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশে টুইটবার্তায় বলেন, ‘বিলাসবহুল আস্তানায় ছুটি কাটিয়ে রাজ্যে ফিরছেন বিজেপির বিধায়কেরা। তাদের স্বাগত জানাচ্ছি। ওরা এখন চাঙ্গা। আশাকরি নিজেদের এলাকার কাজে মন দেবেন। অনেক দিন হল ওরা নিজেদের এলাকার মানুষদের অবহেলা করছেন।’
তবে বেঙ্গালুরু ফিরে যাওয়ার আগে বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা দাবি করেছেন, লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি নিতেই নাকি কর্নাটকের বিধায়কদের হোটেলে রাখা হয়েছিল।