কর্ণফুলী থানায় ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

62

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কের ভেল্লাপাড়া ব্রিজ এলাকায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে গত সোমবার রাতে এক বাস চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ১০ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে নিহত বাস চালক জালালের ছোট ভাই জুয়েল হোসেন বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় মামলাটি করেন।
কর্ণফুলী থানার ওসি আলমগীর মাহমুদ জানান, মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে কারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে, সে সম্পর্কে এখনও কিছুই জানা যায়নি।
এদিকে গাড়ি চালককে হত্যার প্রতিবাদ এবং দায়ীদের গ্রেপ্তার দাবিতে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এই ধর্মঘট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে। পরবর্তীতে আগামী রবিবার থেকে দ্বিতীয় দফা ধর্মঘট চলবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার ছেড়ে আসা ঢাকামুখি শ্যামলী পরিবহনের একটি চেয়ারকোচ কর্ণফুলী এলাকায় পৌঁছলে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তল্লাশি শুরু করা হয়। এ সময় চালক জালাল উদ্দিনকে বেদম মারধর করে। পরে গাড়ি চালককে হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ওই ঘটনার পর মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের (বন্দর জোন) উপ-পুলিশ কমিশনার মোস্তাইন হোসেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (বন্দর জোন) ডিসি হামিদুল আলম, এডিসি হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কর্ণফুলী জোন) জাহেদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আফরুজুল হক টুটুল, নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন, কর্ণফুলী থানার ওসি আলমগীর মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ভেল্লাপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন বকুলের বালি মহালের নিরাপত্তা প্রহরী মোহাম্মদ ছবুর জানান, রাতে ৩টি গাড়ি নিয়ে পুলিশের মত লোকজন বাস থামিয়ে তল্লাশি করেন এবং চালককে নিচে নামিয়ে আনেন। তবে মারধর করা হয়েছে কিনা তা দেখেননি তিনি।
শ্যামলী পরিবহনের সুপারভাইজার আজিম উদ্দিন জানান, যেখানে ঘটনা ঘটেছে তার অদূরে র‌্যাব-৭ এর একটি গাড়ি ছিল। ইয়াবা উদ্ধারের নামে তল্লাশি ও চালককে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আরকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াছিন জানান, শ্যামলী পরিবহনের গাড়ি চালককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, চালককে পটিয়া সীমান্তের কর্ণফুলী থানা এলাকায় হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল নিশ্চিত হওয়ার পর কর্ণফুলী থানায় মামলা করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সাথে কারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহসহ বিভিন্নভাবে চেষ্টা চলছে।