কর্ণফুলী আ. লীগের ইউনিট কমিটি পুনর্গঠন হচ্ছে

54

বর্তমান সভাপতি ও সম্পাদককে বহাল রেখে কর্ণফুলী উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন কমিটি পুনর্গঠন করা হচ্ছে। সে লক্ষ্যে সদস্য সংগ্রহ এবং ওয়ার্ড কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করার কাজ শুরু হয়েছে। আগামি মার্চের মধ্যে ওয়ার্ড কমিটি এবং এরপর ৫ ইউনিয়নের কমিটি পূর্র্ণাঙ্গ করা হবে। তবে ইউনিয়ন কমিটিতে যারা বর্তমানে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন তারা স্ব-পদে বহাল থাকবেন। কমিটির অন্য পদগুলো পূরণ করা হবে।
গত ২০১৬ সালের মার্চ মাসে পাঁচ ইউনিয়নের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম প্রকাশ করে ২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে প্রত্যেক ইউনিয়নে দুইজনের মাধ্যমে সাংগঠনিক কর্মকাÐ পরিচালিত হয়ে আসছিল।
এদিকে গত বছরের ২২ অক্টোবর সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমদের স্থলে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরীকে সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির অধীনে ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন কমিটি গঠনের উদ্যোগের পর কর্ণফুলী উপজেলায় নেতাকর্মীদের মাঝে চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে। পদ পেতে চলছে লবিং আর তদবির।
২০১৬ সালে ঘোষিত ৫ ইউনিয়নের কমিটিতে শিকলবাহায় সভাপতি পদে দিদারুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক পদে আবদুল করিম ফোরকান, চরপাথরঘাটা ইউনিয়নে সভাপতি পদে সৈয়দ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক পদে জসিম উদ্দিন, চরলক্ষ্যা ইউনিয়নে সভাপতি পদে রফিক আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, জুলধা ইউনিয়নে সভাপতি পদে আমির আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক পদে রফিক আহমদ চেয়ারম্যান এবং বড় উঠান ইউনিয়নে সভাপতি পদে আমজাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পদে আবদুল মন্নান খাঁনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এদের মধ্যে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন মারা গেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক পদে হায়দার আলী রনি নির্বাচিত হন। আর ২০১০ সালে গঠন করা হয় পাঁচ ইউনিয়নে আহবায়ক কমিটি। এসব কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়া ও মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর থানা ও ইউনিয়নের সকল কমিটি বিলুপ্ত করে থানা এডহক কমিটি ঘোষণা করে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ। এর দেড় বছর পর ২০১৬ সালের মার্চ মাসে পাঁচ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা দেয়া হয়।
কর্ণফুলী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রনি জানান, দলীয় কর্মকান্ডে গতিশীলতা আনতে ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মার্চের মধ্যে সদস্য সংগ্রহ এবং ওয়ার্ড কমিটি গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এরপর ইউনিয়ন কমিটি গঠনের কাজ শুরু হবে।