কর্ণফুলীতে সাড়ে তিন মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি আসামি

38

কর্ণফুলী উপজেলায় ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ১০ বছরের এক কন্যাশিশুকে ৫ সন্তানের জনক কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনায় এখনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পরেনি পুলিশ। শিশুটির মায়ের অভিযোগ পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারে কোন ধরনের আগ্রহও দেখাচ্ছে না। আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য তার অবস্থানের তথ্য দিলে পুলিশ অফিসার উল্টো গাড়ি ভাড়ার টাকা দাবি করেন। এভাবে সাড়ে ৩ মাস পার হয়েছে। আসামি নুরুল আবছার (৩৫) চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডস্থ মোহাম্মদ আলী চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন খাট্টা পোকার বাড়ির বাসিন্দা নুরুল হকের পুত্র। তার ২ স্ত্রী ও ৫ জন ছেলে মেয়ে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১১ অক্টোবর শিশুটিরর মা চাকরিতে এবং পিতা ডাক্তারের কাছে গেলে একা পেয়ে প্রতিবেশী নুরুল আবছার ঘরে প্রবেশ করে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এরপর ৯ নভেম্বর বিকাল ৪টায় ঘরের জন্য পণ্যসামগ্রী আনতে একটি দোকানে যাওয়ার পথে রাস্তার পাশে একটি ঝোপে নিয়ে একইভাবে পুনরায় শিশুটিকে ধর্ষণ করে। ঘরে গিয়ে প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে রক্তক্ষরণ হওয়ার বিষয়টি শিশু তার মাকে জানায়।
এরপর তার মা শিশুর কাছ থেকে কৌশলে পুরো ঘটনার বিষয়ে জানতে পারে। এরপর থানায় ১৫ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করে।
মামলা দায়ের করা হলেও আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশ কোন ধরনের চেষ্টা করেনি। মামলার বাদি জানান, আসামি বর্তমানে কর্ণফুলী থানাধীন ইছানগর চিনি কারখানা সংলগ্ন নুরুল হক হাজীর ভাড়া ঘরে বসবাস করছে। বিষয়টি জানানো হলেও পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করছে না। বাদির পক্ষ থেকে সংবাদ দেয়া হলে তা আসামিকে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কর্ণফুলী থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মকবুল জানান, আসামি ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাকে কয়েকবার গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হয়েছিল। তবে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সে অচিরেই আটক হবে। বাদি কর্তৃক পুলিশের অবহেলার অভিযোগ সত্য নয় বলেও তিনি জানান।
­