করোনা মোকাবেলায় খাদ্যসামগ্রী ও মাস্ক বিতরণ

220

রাউজান : রাউজানে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কর্মজীবি দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের ঘরে ঘরে এবং পথে-ঘাটে ঘুরে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন স্থানীয় সাংসদ ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। খাদ্যসামগ্রী ছাড়াও অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসক পাঠিয়ে চিকিৎসা করার পর তাদের ওষুধও ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন এ সাংসদ। তরুন সমাজসেবক, সংগঠক ফারাজ করিম চৌধুরীর উদ্যোগে গত রবিবার ফজলে করিম এমপি রাউজান পৌরসভার মুন্সিরঘাটা, ফকিরহাট, ৭নং রাউজান ইউনিয়নসহ বেশকিছু ইউনিয়নের সাধারন পরিবারের ঘরে ঘরে গিয়ে দিনমজুর, রিক্সা চালক, হত দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের ঘরে ঘরে চাউল, ডাল, তৈল, পেয়াজ, আলু, বিস্কুট নিজ হাতে তুলে দেন। পর্যায়ক্রমে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় ২০-৩০ হাজার পরিবারের হাতে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবীর সোহাগ, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ভূইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিসহ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, পৌরসভার ২য় প্যনেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, কামরুল হাসান বাহাদুর, এড. দীপক কান্তি দত্ত, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার নিয়াজ মোরশেদ, ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, বিএম জসিম উদ্দিন হিরু, আবদুর রহমান চৌধুরী, প্রিয়তোষ চৌধুরী, সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল, যুবলীগ নেতা মফজল হোসেন, সুমন দে, জাহাঙ্গীর আলম, আহসান হাবিব চৌধুরী হাসান, প্রকল্প কর্মকর্তা নিয়াজ মোরশেদ চৌধুরী, এডভোকেট দীলিপ কুমার চৌধুরী, সোশ্যাল সার্ভিসেস ইউনিয়ন অব রাউজানের যুগ্ম আহবায়ক দিদারুল আলম, আবদুল লতিফ, জিল্লুর রহমান মাসুদ, শাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী পিবলু, সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের সভাপতি সাইদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ জামাল নকিব, ছাবের হোসেন, হাসান তানভীর চৌধুরী, নাছির উদ্দিন প্রমুখ। এর আগে দুপুরে রাউজান পৌরসভা সদরের বিভিন্ন এলাকায় গাড়ীর সহায়তায় জীবানুনাশক ঔষধ ছিটানো হয়। জীবানুনাশক ঔষধ ছিটানোর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। এ প্রসঙ্গে রেলপথ মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি খাদ্য বিতরন কালে বলেন ‘করোনা ভাইরাসের প্রাদুভার্ব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গণ পরিবহন চলাচল নিষিদ্ধ, হাট বাজার বন্ধ, ওষুধের দোকান ও খাদ্যের দোকান ব্যতীত সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দিনমজুর, রিক্সা চালক, সিএনজি অটোরিক্সা চালক, বাস চালক, দরিদ্র পরিবার যাতে কষ্টে না পড়ে সে জন্য ২০-৩০ হাজার পরিবারকে খাওয়ার ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে।
সীতাকুন্ড : সীতাকুন্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ইমামনগর গ্রামের তরুণ সমাজ সেবক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াছ করোনা ভাইরাস আয়-রোজগার বঞ্চিত খেটে খাওয়া মানুষকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেছেন। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিলো ৫ কেজি চাল, ১ কেজি সোয়াবিল তেল, ১ কেজি পেয়াজ, ১ কেজি ডাল ও ৩ কেজি আলু। সম্প্রতি সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় খাদ্য সামগ্রী পরিদর্শন করেন এবং এক প্রতিবন্ধি ও একজন দিনমজুরকে দিয়ে অনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম সেকান্দর হোসাইন, নেতা মোহাম্মদ সেলিম, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম জুয়েল, দিদারুল আলম, আবুল বশর, মহিউদ্দিন, সাবের আহমদ প্রমুখ। পরবর্তীতে দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রীগুলো পৌঁছে দেওয়া হয়। উপস্থিত বক্তরা বলেন, মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। বিপদের সময় মহতি এ উদ্যোগের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই এ তরুণ সমাজ সেবককে। আল্লাহর কাছে তার দীর্ঘায়ু কামনা করছি। ইলিয়াছের মতো সমাজের বিত্তবানেরা এগিয়ে আসলে খেটে খাওয়া মানুষগুলো অনাহারে থাকবে না। মহামারি করোনা যুদ্ধে বিজয় হবো ইনশাআলাহ।
রাঙ্গুনিয়া : করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া রাঙ্গুনিয়ার মরিয়মনগর ইউনিয়নের শ্রমজীবী দুস্থ মানুষকে জরুরী নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে এসব সামগ্রী প্রদান করেন ওয়েল হোল্ডিংস লিমিটেডের পরিচালক ওসমান গনি। গত ২৮ মার্চ তিনি দুই শতাধিক অতিদরিদ্র শ্রমজীবী পরিবারের মাঝে এক মাসের চাল, ডাল, তেল, আলু, লবণ, সাবানসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তুলে দিয়েছেন। এছাড়া ৫শতটি মাস্ক বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মরিয়মনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুল হক হিরু, উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি পারভেজ হোসেন, ইউপি সদস্য মো. ইসমাঈল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন রিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল নবী, কুতুব উদ্দিন, মো. আলম, মো. বেলাল প্রমুখ। করোনাভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে দরিদ্র আর অতিদরিদ্র শ্রমজীবী পরিবারের মানুষগুলো। কর্মহীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ। তাই কর্মহীন শ্রমজীবী দুস্থ মানুষের সাহায্যে এভাবে এগিয়ে আসতে সকলের প্রতি আহবান জানান ওয়েল হোল্ডিংস লিমিটেডের পরিচালক ওসমান গনি।
হাটহাজারী : করোনা ভাইরাস (কোবিড-১৯) এর বিস্তার রোধে দেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন। এতে করে হতদরিদ্র, অস্বচ্ছল, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষের দৈনিক খাওয়া যোগাড় করতে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই হাটহাজারী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডস্থ রঙ্গীপাড়া এলাকায় অসহায় ও খেটে খাওয়া দু:স্থ পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন হাটহাজারী কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. এসকান্দর। গত দুই দিন (শনিবার ও রবিবার) ধরে তিনি নিজ বাসায় তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৪শ ৫০ জন দিনমজুর ও অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। এতে করে প্রত্যেক পরিবার ৩ কেজি চাল, ১ কেজি আলু, ১ কেজি টমেটো, ১ কেজি পিঁয়াজ ও আধা কেজি ডাল পেয়েছে। অসহায়দের মাঝে খাদ্য বিতরণকারী মো. এসকান্দ বলেন, আমার এলাকার অনেক দিনমজুর ও অসহায় মানুষ আছেন তাদের এখন সব কাজ বন্ধ। সেজন্য আমার সাধ্যমত তাদের জন্য কিছু খাদ্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করেছি। তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি যাদের সাম্যর্থ আছে সবাই যদি এভাবে এগিয়ে আসে, এই কাজগুলো করে তাহলে বহু মানুষ এ বিপদ থেকে রক্ষা পাবেন। তাই অসহায় ও খেটে খাওয়া দু:স্থ পরিবারগুলোর পাশে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসারও আহবান জানান তিনি।
সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসন : সাতকানিয়ায় গত ২৮ মার্চ করোনা পরিস্থিতির কারণে ঘরে আবদ্ধ অসচ্ছল, নিম্নআয়ের লোকজনের দোরগোড়ায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত জি আর ক্যাশের মাধ্যমে ক্রয়কৃত শুকনো খাবার এবং চাল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বাড়ি বাড়ি। খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার প্রচেস্টায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূরে-এ আলম এবং উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসেনের পাশাপাশি জনসচেতনতার লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক গৃহীত করোনা ভাইরাস মোকাবেলার সকল দিকনির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দেন।
এগিয়ে চলো : সাতকানিয়ায় গত ২৫ মার্চ সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগিয়ে চলো চট্টগ্রাম টিমের পক্ষ থেকে করোনা পরিস্থিতির কারণে ঘরে আবদ্ধ অসচ্ছল, নিম্নআয়ের লোকজন এবং হতদরিদ্র জনসাধারণের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি জনসচেতনতার লক্ষ্যে লিফলেট ও সামাজিক দূরত্ব বজায়, জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন টিমের সদস্যরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য মামুনুল হক, সাজিল আনোয়ার, কাউছার ইকবাল গালিব, সাইফুল ইসলাম হিরু, বাবু, এনামুল হক।
চন্দনাইশ : সারাদেশের ন্যায় চন্দনাইশের ২টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের হত দরিদ্রদের জন্য করোনা ভাইরাসের কারণে ১০ দিনের সাধারণ ছুটির সময় ৭ মেট্রিক টন চাল ও ৪৫ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বরাদ্দ পেয়ে গত ২৯ মার্চ সকাল থেকে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে তালিকা সংগ্রহ করে চাল বিতরণ শুরু করেন।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসেন বরকল, বরমা, সাতবাড়িয়া, বৈলতলী, দোহাজারী, কাঞ্চনাবাদ, হাশিমপুর, জোয়ারা ইউনিয়নে হত দরিদ্র জনগোষ্টির মাঝে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু বিতরণ করেন। এসময় তার সাথে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও সড়কে ব্লিসিং পাউডার যুক্ত পানি স্প্রে করেছে চন্দনাইশ থানা পুলিশ। গত ২৯ মার্চ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা সদর এলাকার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের রওশনহাট থেকে কলেজ গেইট পর্যন্ত বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ব্লিসিং পাউডারযুক্ত পানি দিয়ে স্প্রে করা হয়। এসময় থানা অফিসার ইনচার্জ কেশব চক্রবর্ত্তী বলেছেন থানা পুলিশ সারাদেশের ন্যায় চন্দনাইশের বিভিন্ন এলাকায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ব্লিসিং পাউডারযুক্ত পানি স্প্রে করে আসছে।
যা সরকারি নির্দেশ মোতাবেক অব্যাহত থাকবে। সেই সাথে বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিনে প্রেরণে কাজ করে যাচ্ছে। একই সাথে সাধারণ মানুষ যেন অপ্রয়োজনে ঘুরাফেরা করতে না পারে সেজন্য আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি মাইকিং এবং লিপলেট বিতরণ করে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
নাজিরহাট : মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে সরকার ঘোষিত ১০দিনের সাধারণ ছুটি চলছে। এতে ঘরবন্দি হয়ে চরম বিপাকে পড়েছে গরীব, অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষরা। এমন সংকটপূর্ণ সময়ে নিজের কাঁধে করে এসব গরীব-হতদরিদ্র মানুষদের ঘরে ঘরে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুসাইন মো. আবু তৈয়ব। গত রবিবার তিনি ফটিকছড়ির নাজিরহাট পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় সহস্রাধিক দরিদ্র পরিবারের মাঝে এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় তার এমন মানবিক কর্মকান্ড দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন হতদরিদ্র-খেটে খাওয়া মানুষগুলো। অন্যদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তৈয়বের এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়। তাঁর এ কর্মকান্ড বর্তমান পরিস্থিতিতে জনপ্রতিনিধি, সমাজের বিত্তবানসহ সবার জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন সকলে। এ বিষয়ে হুসাইন মো. আবু তৈয়ব বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশানুসারে সবাই ঘরবন্দি। এ সময়ের মধ্যে যাতে কোনো মানুষ খাদ্যাভাবে কষ্ট না পায় সে জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশানুসারে গরীব-হতদরিদ্র মানুষদের নিকট প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি। এ সময় তিনি পায়ক্রমে সমগ্র ফটিকছড়িতে এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে দেশের এ পরিস্থিতিতে সমাজের বিত্তবানদেরকে হতদরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান। ত্রাণ বিতরণকালে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সায়েদুল আরেফিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন নাহার মুক্তা, নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজ উদ দৌলাহ, ফটিকছড়ি থানার ওসি বাবুল আক্তার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল হোসেন, নাজিরহাট পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী, নাজিরহাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ জালাল, আক্কাস আলীসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাঁশখালী : বৈলছড়িতে ১৫০০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী দিয়েছেন উপজেলা যুবলীগ সাধারন সম্পাদক মো. মাকসুদ। এর আগে তিনি এক হাজার জনকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ করেন। গত দুদিন ধরে এসব সামগ্রী গরীব ও দুস্থদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেন যুবলীগের এই নেতা।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাকসুদ বলেন, বিবেকের তাড়নায় ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের পাশে দাড়িয়েছি। প্রথম ধাপে এক হাজার স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ করেছি। পরে চাল, ডাল, আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পৌঁছে দিয়েছি দেড় হাজার পরিবারে।
এছাড়াও নিজ বাড়িতে একটি বুথ করেছি। যেখানে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি রাখা আছে। কারো প্রয়োজন পরলে একটি প্যাকেট নির্দ্বিধায় নিয়ে যেতে পারবে।