করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে হোমিওপ্যাথি শীর্ষক সেমিনার

390

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএইচএমএ) চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে করোনা ভাইরাস সচেতনতা ও প্রতিরোধে হোমিওপ্যাথি শীর্ষক সেমিনার নগরীর পুরাতন গীর্জাস্থ হোমিও চত্ত¡রে গত ১৫ মার্চ বিকালে এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাড. ডা. মো. ছমি উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএইচএমএ চট্টগ্রাম জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা গুণী চিকিৎসক অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম। মূখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চট্টগ্রাম বিভাগীয় (সাবেক) সরকার প্রতিনিধি ডা. সালেহ আহমেদ সুলেমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএইচএমএ চট্টগ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. শামসুদ্দিন, ডা. জাকির হোসেন সিটি কর্পোরেশন হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. মো. নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডা. দুলাল কান্তি চৌধুরী, হোমিওপ্যাথি স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির মহাসচিব ডা. মো. ইসমাইল চৌধুরী, ডা. মো. নুরুচ্ছফা, ডা. আলাউদ্দিন ভূইয়া, প্রভাষক ডা. শরিফুজ্জামান শরীফ, অধ্যাপক ডা. মো. নুরুল আমিন, ডা. দিলীপ কুমার দে, ডা. মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন আরিফ, ডা. কামরুল হাসান, ডা. ছিদ্দিক আহাম্মদ, ডা. নুরুল ইসলাম আনসারী, ডা. এসএম ইয়াসিন উদ্দিন, ডা. সমীরণ চক্রবর্তী, ডা. মোহাম্মদ আয়ুব, মো. সিদ্দিকুর রহমান, ডা. জাহানারা বেগম কলি, ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ডা. এমএ ফজল প্রমুখ। সেমিনারে বক্তারা বলেন, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে বৈশ্বিক মহামারি আকার ধারণ করেছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক উপসর্গ হয় নিউমোনিয়ার মত। এর কোনো প্রতিষেধকও মানুষের জানা নেই। আক্রান্ত দেশের চিকিৎসকগণ এ ভাইরাস প্রতিরোধে লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা দিচ্ছেন। সা¤প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সরকারের করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করে তাদের আলাদা করার ওপর গুরুত্ব দেয়ার কৌশলকে সমর্থন করে নেতৃবৃন্দ বলেন, হোমিওপ্যাথি একটি লাক্ষণিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। রোগীর উপসর্গসমূহ লক্ষণসমষ্টি ও ঔষধের লক্ষণ সদৃশ হলেই রোগের আরোগ্য দ্রুত সম্ভব। বিভিন্ন সূত্রে জানা তথ্য মতে, করোনা ভাইরাসের রোগীর প্রথমে জ্বর এরপর শুকনো কাশি ও গলা ব্যথা হয়। পরবর্তীতে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। অনুরূপ লক্ষণে হোমওপ্যাথি ঔষধ, একোনাইট ন্যাপ, আর্সনিক এ্যালবাম, বেলাডোনা, ব্রাইয়োনিয়া, জেলসিমিয়াম, ড্রসেরা, কার্বোভেজ ইত্যাদি ঔষধগুলো লক্ষণ অনুযায়ী প্রয়োগ করলে করণাভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব। বিজ্ঞপ্তি