করোনা প্রতিরোধে ক্লোরোকুইনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু

28

ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী ওষুধ ক্লোরোকুইন ও হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার করে কোভিড-১৯ ঠেকানো যায় কিনা; এবার তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে যুক্তরাজ্যের ব্রাইটন ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গবেষণার অংশ হিসেবে ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার ৪০ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে ওই ওষুধ প্রয়োগ করা হবে। এই স্বাস্থ্যকর্মীরা সবাই আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছিলেন। ক্লোরোকুইন ও হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন মূলত ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। করোনাভাইরাসের এখন পর্যন্ত কোনও স্বীকৃত ওষুধ আবিষ্কৃত না হওয়ায় পরীক্ষামূলক হিসেবে এগুলো বিভিন্ন দেশে ব্যবহার হচ্ছে।
করোনার চিকিৎসায় এগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। গত ২৪ এপ্রিল বিবৃতি দিয়ে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও ক্লোরোকুইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক করে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রাশাসন বিভাগ (এফডিএ)। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ওষুধ দুটি ব্যবহারের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। হাসপাতাল ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বাইরে করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে ওষুধ দুইটি প্রয়োগ না করার পরামর্শ দেওয়া হয় বিবৃতিতে। তবে এ ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে এরইমধ্যে পরীক্ষা শুরু করেছেন যুক্তরাজ্যের গবেষকরা। বৃহস্পতিবার (২১ মে) যুক্তরাজ্যে ব্রাইটন ও সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল ও অক্সফোর্ডের জন রেডক্লিফ হাসপাতালের চিকিৎসাকর্মীদের ম্যালেরিয়ার ওষুধ দেওয়া হবে।
গবেষণার নিয়ম মেনে তাদের কাউকে তিন মাসের জন্য সত্যিকারের হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া হবে আবার কাউকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন নকল ওষুধ দেওয়া হবে। আবার এশিয়ার বিভিন্ন এলাকায় কাউকে ক্লোরোকুইন আবার কাউকে নকল ওষুধ দেওয়া হবে। কাকে কী ধরনের ওষুধ দেওয়া হলো তা কেউ জানবে না। পর্যায়ক্রমে যুক্তরাজ্যের ২৫টি এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে এ ওষুধ পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে। এ বছরের শেষ নাগাদ জানা যাবে ফল।
করোনা আক্রান্ত রোগীর সেবা করেছেন কিন্তু নিজে আক্রান্ত হননি, এমন যে কেউই এ গবেষণায় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। গবেষণার উদ্দেশ্য, এই ওষুধ প্রয়োগের মধ্য দিয়ে ভাইরাসের সংস্পর্শে যাওয়ার পরও স্বাস্থ্যকর্মীরা সংক্রমণ এড়াতে পারছেন কিনা তা খুঁজে দেখা।