করোনা আতঙ্ক ইনানী সি-বিচ পর্যটক শূন্য

139

দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস নিয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার পর থেকে অনেকটা ফাঁকা হয়ে গেছে পর্যটন এলাকা উখিয়ার ইনানী সি-বিচ। গুটি কয়েক স্থানীয় লোকজন ছাড়া বাইরের কোন ব্যক্তি তেমন চোখে পড়ছে না। অথচ গত ২ দিন আগেও ইনানীসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে সাগর পাড়সহ পর্যটন কেন্দ্রগুলো লোকে-লোকারণ্য ছিল।
সরজমিন দেখা গেছে, সরকারের নির্দেশের পর হঠাৎ একটি ঘোষণায় বদলে গেল পুরো চিত্র। পর্যটন নগরীতে নেমে আসলো শুনশান নীরবতা। কোথাও নেই কোলাহল।
২৬ মার্চ উপলক্ষে অনেক হোটেলে দেয়া অগ্রিম বুকিং বাতিল করেছে পর্যটকেরা। রেস্তোরাঁ, ক্যাফে বা অভিজাত খাবার প্রতিষ্ঠানগুলোতেও লোকজন নেই। প্রভাব পড়েছে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনেও।
গতকাল শুক্রবার উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকত, পাটুয়ার টেক, হিমছড়ি ঝর্না এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এখানে কোন পর্যটক নেই। বিরাজ করছে নিরবতা। পর্যটক না থাকায় স্থানীয় দোকানগুলো প্রায় বন্ধ। অলস সময় কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। মেরিন ড্রাইভ সড়কের বেশ কয়েকটি স্পটে বসানো হয়েছে যানবাহন তল্লাশি চৌকি। নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা খুব সতর্কতার সাথে কাজ করছে।ইনানী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতা ছৈয়দ হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাস আতঙ্কে এবং প্রশাসনের নির্দেশে বিচের দোকান-পাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব দোকান মালিকরা উচ্চদামের ভাড়া দিয়ে উপ-ভাড়া নিয়েছে। এভাবে যদি দোকান গুলো বন্ধ থাকে তাহলে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়বে তারা।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, করোনা সর্তকতায় সরকারের ঘোষিত কর্মসূচির সাথে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে উখিয়ার বিভিন্ন পর্যটন স্পট, যেকোন ধরনের সভা-সমাবেশ, মিটিং-মিছিল, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মক্তবসহ জনসমাগম বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। লোকজনকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বারবার সর্তক করা হচ্ছে। এমনকি উখিয়া উপজেলায় মাইকিং করে করোনা সম্পর্কে সর্তকতার কর্মসূচি প্রচার করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।