করোনা আতঙ্কেও মাঠে মেয়র নাছির

80

মাস দেড়েক আগেও মেয়র হওয়ার বাসনা নিয়ে অলিগলি ঘুরেছেন। মোড়ে মোড়ে টাঙিয়েছেন রঙিন ব্যানার। এখন সবাই যেন নিস্তব্দ হয়ে আছেন। যেখানে জনগণের পাশে থাকার প্রতিশ্রূতিতে মন্ত্রী-এমপি হওয়া নেতাদের উপস্থিতি নেই সেখানে ঝুঁকি নিয়েও জনগণের পাশে আছেন সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দিন।
কোভিড-১৯ তথা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে জনগণের পাশে থাকতে দেখা যাচ্ছে না ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতাদের। এমনকি জনগণের পাশে থাকার প্রতিশ্রূতিতে প্রচারণা চালানো আওযামী লীগ মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর হাতে একবার স্প্রে মেশিন উঠলেও আর কোন কর্মকান্ডে উনাকে দেখা যায়নি।
জানা যায়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে একমাত্র উপায় সচেতনতা। এ কাজে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সবচেয়ে বেশি ভূমিকা থাকার কথা। কিন্তু অনেক জনপ্রতিনিধি নীরব থাকলেও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দিন নগর চষে বেড়াচ্ছেন।
মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিটি ওয়ার্ডে করোনা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। নগরবাসীর মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে মাইকিংসহ নানামুখি প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম চলছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া জনসাধারণকে বাইরে ঘোরাফেরা না করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
করোনা মোকাবেলায় দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনার পরেও মেয়র নাছিরের এমন প্রচারণার বিপক্ষে অনেকেই। তবে সাবান বিতরণ, মাইকিং প্রচারণা, ব্লিচিং পাউডারযুক্ত পানি ছিটানোর মতো সচেতনতা বিষয়ক কর্মসূচি পালনের মধ্যদিয়ে আপাতত নগরবাসীর মনিকৌটায় স্থান করে নিয়েছেন মেয়র নাছির।
এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সমাজের খেটে খাওয়া দিনমজুর অসহায় মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য ধনীও বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
গতকাল আওয়ামী লীগের ইন্ডিয়া কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনায় দরিদ্র ও সীমিত আয়ের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা মন্দা হয়েছে। এই সংকটকালীন মুহূর্তে সমাজের ধনী ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে। খেটে খাওয়া মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী বিশেষ করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান গ্রহণ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারের গৃহীত কার্যক্রমে প্রশাসন ও সেনাবাহিনীকে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। একইসাথে সকল ধরনের গুজব এড়ানোর কথাও বলেন সেতুমন্ত্রী।