করোনায় বাক্য-যন্ত্রণা ও শ্রুতিদূষণে বীতশ্রদ্ধ জনপদ

67

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

মানবিকতা-মনুষ্যত্বের বিশ্বখ্যাত গৌরবগাঁথার পর্যালোচনায় আমরা অবহিত হই যে, বিশ্বের আর্তমানবতার সেবা প্রদানের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান রেডক্রস সমিতির প্রতিষ্ঠাতা হেনরী ডুনান্ট ছিলেন পিতা প্রদত্ত একজন উচুঁমার্গের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী কিন্তু সর্বদা মানুষের দুঃখ-কষ্টে অপরিসীম মমতায় তাঁর হৃদয় ভারাক্রান্ত থাকত। জনাব ডুনান্ট ১৮৫৯ সালে ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে হাজার হাজার সৈন্যের প্রাণহানির সংবাদে ফ্রান্সের স¤্রাট তৃতীয় নেপোলিয়নের সাথে ব্যবসা সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ না দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্র পরিদর্শনে বেরিয়ে পড়েন। স্বচক্ষে দেখলেন ভয়ংকর দৃশ্য, সারি সারি মৃত দেহ, আহত সৈন্যদের বাঁচার নির্মম আর্তনাদ ও হাহাকার। নিহত সৈনিকদের সৎকার এবং আহত সৈনিকদের চিকিৎসা সেবায় মনোনিবেশ করে ১৮৬৩ সালে জেনেভা শহরে আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠান আয়োজন এবং প্রথম গঠন করলেন সেবাদান সংস্থা ‘রেডক্রস’। পবিত্রতার সাদা আর রক্তের লাল রঙে খচিত হলো সংস্থার প্রতীক। একইভাবে আর্তমানবতার সেবায় জীবন উৎসর্গকারী বিশ্বনন্দিত মহীয়সী রমণী ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল। ১৮৫৩ সালে ক্রিমিয়ার যুদ্ধে যুদ্ধাহত সৈনিকদের অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশায় এদের সেবা প্রদানে নিজেকে অবিচল নিবেদন করে যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সমগ্র বিশ্বে। এরকম বহু ঘটনা রয়েছে যাঁরা সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে বিশ্ব মানবতার জয়গানে ভাস্বর হয়েছেন এবং মানব সভ্যতার ইতিহাসে চিরঞ্জীব মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন।
বিগত তিন মাসে প্রাণঘাতি করোনা মহামারির বৈশ্বিক দৃশ্যপট ব্যাখ্যায় বিভিন্ন অসমর্থিত ও আস্থা রাখা যায়; এমন সূত্রের সমন্বয়ে যে পরিসংখ্যান নানা মাধ্যমে নিয়মিত উপস্থাপন করা হচ্ছে, তাতে দেখা যায় যে বিশ্বব্যাপী চলমান করোনায় প্রাণসংহারের সংখ্যা প্রায় তিন লাখ চুরাশি হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর বিপরীতে সাধারণ ঠাÐাজনিত রোগে প্রাণহানির ঘটনা প্রায় তিন লক্ষ সত্তর হাজার, ম্যালেরিয়ায় তিন লক্ষ একচল্লিশ হাজার, আতœহত্যায় তিনলক্ষ চুয়ান্ন হাজার, সড়ক দুর্ঘটনায় তিন লক্ষ চুরান্নবই হাজার, এইচআইভিএইডসে দুই লক্ষ একচল্লিশ হাজার, বিভিন্ন মদ্য-বিষাক্ত পানীয় পানে পাঁচলক্ষ আটান্ন হাজার, ধূমপানের কারণে আটলক্ষ ষোল হাজার, ক্যান্সারে প্রায় এগার লক্ষ আটষট্টি হাজার।
করোনা আক্রান্তদের মধ্যে একাশি শতাংশ মাঝারি সংকটাপন্ন, চৌদ্দ শতাংশ সহনীয় সংকটাপন্ন, কঠিন সংকটাপন্ন হচ্ছে পাঁচ শতাংশ এবং দুঃখজনক মৃত্যুহার হচ্ছে দুই শতাংশ। অথচ আমরা অবগত আছি যে, সম্ভবত: সার্স এবং সোয়াইন ফ্লু প্রাদুর্ভাবে মৃত্যুহার ছিল যথাক্রমে দশ ও আটাশ শতাংশ। উল্লেখিত পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে ধারণা করা যায় বৈশ্বিক ক্ষমতা-অর্থ-পণ্য উৎপাদন ও বিপণন তথা বাজার দখলের অনৈতিক ও লুম্পেন অসম প্রতিযোগিতায় কথিত উন্নত বিশ্বের ভোগবাদী পুঁজিবাদ কুৎসিত প্রভাব বিস্তারে প্রচÐ অত্যহিত। অতীতের অযাচিত ও অযৌক্তিক কর্মকৌশল বিশ্ব অর্থব্যবস্থাকে করে চলেছে নিদারুন শঙ্কাশ্রিত।
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নানাবিধ প্রচার মাধ্যমে মুখরোচক বাক্য-যন্ত্রণায় পুরো বিশ্ববাসী যেন শ্রæতি-দূষণে বিপর্যস্ত ও বীতশ্রদ্ধ। নিজ নিজ দেশের অর্থনৈতিক দুর্বলতাকে কাটিয়ে অবৈধ রাজনৈতিক আশ্রম প্রতিষ্ঠা ও ক্ষমতা-পূজাকে দুঃশাসনের নিরীক্ষণ ভেবে করোনাকে মহাসংকটে রূপান্তর করার অপকৌশলে ব্যতিব্যস্ত। এটিকে পুঁজি করে সম্ভাব্য বিশ্ব মহামন্দা, দারিদ্র্য, কর্মচ্যুতি, অভিবাসন সংকট, দুর্ভিক্ষ ইত্যাদির নষ্ট ফলানুসন্ধানে চলমান সংকটকে সুপরিকল্পিতভাবে প্রচার-বিস্তার করা হচ্ছে। একদিকে সমগ্র বিশ্ববাসীকে অনভিপ্রেত ও অনাকাক্সিক্ষত মানসতাত্তি¡ক অসহায়ত্বদান এবং অন্যদিকে আমাদের মত অনুন্নত বিশ্বের অর্থ ও রাজনীতিকে করায়ত্ব করার নিকৃষ্ট নৃশংস কোন নতুন কৌশল কিনা, তা নিয়ে বিবেকপ্রসূত সমাজ দারুণভাবে নিরূদ্ধ। এর থেকে পরিত্রাণে প্রয়োজন মানবতাবাদের নৈসর্গিক যুগোপযোগী কার্যক্রমের পরিচর্যা ও অনুশীলন। এই ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর স্বাস্থ্যসেবা দর্শনের নবতর অবতারণা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি মুক্তির মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মানবকল্যাণে আতœত্যাগের প্রগত অনুক্রম সভ্যতার ইতিহাসে কৃতাভিষেক প্রকীর্তি। এই মহামানবের স্বাস্থ্যসেবা দর্শন সাম্প্রতিক সময়ে পৃথিবী নামক এই গ্রহে ভয়াবহ করোনা আক্রান্তের কঠিন ক্রান্তিলগ্নে দিগ্ভ্রান্ত পরিক্রমায় মহামারী প্রতিরোধে এক অবর্ণনীয় শিক্ষণ, প্রশিক্ষণের ‘ইতিহাস দর্শনের’ মৌলিকত্তে¡ বৈজয়িক। ১৯৭২ সাল, ৮ অক্টোবর পি. জি. হাসপাতালের রক্ত সংরক্ষণাগার এবং নতুন মহিলা ওয়ার্ডের উদ্বোধন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ভাষণের প্রায়োগিক পরামর্শ ছিল, ‘সেবার মনোভাব নিয়ে মানুষকে সেবা করুন’। ভাষণের শুরুতে পোস্ট-গ্রাজুয়েট মহাবিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়ে ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. নুরুল ইসলামের বারণ সত্তে¡ও অনুষ্ঠানের যোগদানের পটভূমি ব্যাখ্যা করেন। অত্যন্ত আনন্দচিত্তে এই ধরনের সেবার প্রয়োজন, আয়োজন এবং গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু হৃদয় নিঙড়ানো শ্রদ্ধা ও ভালবাসা সমৃদ্ধ অপরিমেয় অনুপ্রেরণায় উপস্থিত ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে সম্ভুদ্ধ মানবিকতার স্বরূপ উন্মোচন করেন।
বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আপনারা শিক্ষিত, বুদ্ধিজীবী, আপনারা দেশের মানুষ, আপনারা জানেন দেশের অবস্থা কি। স্বাধীনতা সংগ্রামে বিভিন্ন স্তরের লোক যেমন জীবন দিয়েছে, ডাক্তাররাও তেমন দিয়েছে। এ পর্যন্ত যে নাম আমরা পেয়েছি তাতে দেখা যায় ৫০ জন ডাক্তারকে শহীদ হতে হয়েছে। ৫০ জন ডাক্তার তৈরি করতে কি লাগে আপনারা জানেন। দুনিয়ার ইতিহাসে দেখা যায় এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রেও ডাক্তারদের হত্যা করা হয় না। দুইপক্ষে যখন যুদ্ধ হয়, দুই দেশে যখন যুদ্ধ হয় – এতে ডাক্তাররা যুদ্ধবন্দি হয়ে পড়লে তাঁদের হত্যা করা হয় না, এমন কি খারাপ ব্যবহারও করা হয় না। কিন্তু পাকিস্তানি নরপশুরা এতো বড় পশু যে তারা আমার ডাক্তারদের ধরে নিয়ে হত্যা করেছে। ৫০ জনের তালিকা পাওয়া গেছে। ডাক্তার ইসলামকে আমি বলেছি পি.জি. হাসপাতালের দেওয়ালের কাছে পাথরে এইসব ডাক্তারদের নাম ও ইতিহাস লিখে রাখুন। যাতে প্রত্যেক ডাক্তার দেখে যে স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁদের দান কতোখানি। এর ফলে বোধ হয় দেশের জনগণের প্রতি তাঁদের দরদ বাড়বে।’
মধ্যযুগের কবি চন্ডীদাসের স্বাধ্যায় উচ্চারণ ছিল, ‘শোন হে মানুষ ভাই, সবার উপর মানুষ সত্য, তাহার উপর নাই।’ বিশ্বকবি রবীঠাকুর তাঁর জীবন সায়াহ্নে লেখা ‘সভ্যতার সংকটে’ বলেছেন, ‘মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ।’ প্রয়াণের সাত দিন আগে মুখে মুখে বর্ণিত কবিগুরুর জীবনের শেষ কবিতার কয়েকটি পংক্তি ছিল, – ‘মিথ্যা বিশ্বাসের ফাঁদ পেতেছ নিপুণ হাতে সরল জীবনে!/এই প্রবঞ্চনা দিয়ে মহত্তে¡রে করেছ চিহ্নিত;/… সত্যেরে সে পায় আপন আলোকে-ধৌত অন্তরে অন্তর।’ রবীঠাকুর বিশ্বাস করতেন ধর্মের প্রবঞ্চনা দিয়ে মহত্তে¡র অনুভূতি ইন্দ্রিয়বৃত্তির চর্চা হতে পারে, জীবনের আদর্শিক গন্তব্য সন্ধান বা বিবেকের জয় নিশ্চিত করা দূরূহ বিষয়।
সততা ও আচরণের আন্তরিকতাই মরণোত্তর সঞ্চরণে সতীর্থ অনুষঙ্গ।বঙ্গবন্ধু রবীঠাকুরের বিশ্বমানবিকতার এই নিখাঁদ রাখিবন্ধনে নিরন্তর মন্ত্রিত ছিলেন বলেই কালোত্তীর্ণ মহামানব হতে পেরেছিলেন।
জাতীয় কবি নজরুলমানসেও প্রচীয়মান ছিল এই মানবিক দ্যোতনা। নির্বাধ পাঠান্তরে গ্রন্থিত ছিল, ‘শাস্ত্র না ঘেটে ডুব দাও সখা, সত্যসিন্ধু জলে।’ সত্যের অনুসন্ধানে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ছুটাছুটি না করে মানবিক মূল্যবোধকে ধারণ করাই ছিল তাঁর কাছে মনুষ্যত্তে¡র পূর্ণানন্দ মহিমা। সাম্যের কবি নজরুল বলেছিলেন, ‘গাহি সাম্যের গান-/যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান/যেখানে মিশেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-খ্রিস্টান।/গাহি সাম্যের গান।/কে তুমি?-পার্সী? জৈন? ইহুদী? সাঁওতাল, ভীল, গারো?/কনফুসিয়াস? চার্বক্ -চেলা? …কিন্তু কেন এ পন্ডশ্রম, মগজে হানিছ শূল?/দোকানে কেন এ দর কষাকষি?-পথে ফুটে তাজা ফুল!/তোমাতে রয়েছে সকল কেতাব সকল কালের জ্ঞান,/সকল শাস্ত্র খুঁজে পাবে সখা খুলে দেখ নিজ প্রাণ!’ এভাবেই মহামানবগণ বিশ্ব-মানবিকতার মনন-সৃজনে সকল প্রতিকূলতাকে অবজ্ঞা করে জড়ত্ব, আড়ষ্টতা পরিহারে বিশ্বকে আলোর পথে এগোনোর শক্তি-সাহস যুগিয়েছেন।
করোনাকাল বা তত্তাবৎ দুর্যোগ-তাÐবে বিশ্ব হাহাকারেরনির্মমতা কবির মতো বঙ্গবন্ধুও দিগঙ্গনা করতে পেরেছিলেন বলেই বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার দিদৃক্ষু ছিলেন।বুর্জোয়া একনায়কতন্ত্র বা পুঁজিবাদ নয়, জনগণের একনায়কতন্ত্র তথা সমাজতন্ত্র কায়েমে দৃঢ়ব্রতী হয়ে দীপ্তকন্ঠে বলেছিলেন, ‘আমি এই দুঃখি মানুষের নেতা; আমি নেতা হয়েছি, ওরা আমাকে নেতা বানিয়েছে, বাংলাদেশের দুঃখি মানুষের সাথে আমি থাকবো।’ বঙ্গবন্ধু সেই ভাষণে অর্থ-বিত্তের প্রয়োজনীয়তার ব্যাখ্যা করে বলেন এর সাথে আরও অতীব প্রয়োজনীয় বিষয় হচ্ছে মানবতাবোধ। কী অসাধারণ বিনয়ের সাথে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, আপনারা বেয়াদবী মাফ করবেন, আমরা যেন মানবতা বোধ হারিয়ে ফেলেছি। পয়সা কোনো জায়গায় কম দেয়া হচ্ছে না। ভিক্ষা করে হোক পয়সা এনে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু জাতীয় চরিত্র আমাদের নষ্ট হয়ে গেছে। … আমি যেদিকে চাই সেদিকে ‘মানুষ’ খুব কম দেখি। মানুষ এতো নিচ হয় কি করে? মানুষ মানুষের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে পয়সা নেয় কি করে? মানুষ গরিব-দুঃখির কাছ থেকে কি করে লুট করে, আমি বুঝতে পারি না।’
তিনি আরো বলেন, ‘এতো রক্ত, ৩০ লক্ষ লোকের জীবন, এতো শহীদ, এতো মায়ের আর্তনাদ, এতো শিশুর আর্তনাদ, এতো বাপ-মায়ের ক্রন্দন, দেয়ালে দেয়ালে রক্তের লিখা, রাস্তায় রাস্তায় রক্তের স্বাক্ষর – আর সেইখানে বসে সরকারি কর্মচারীরা যদি টাকা-পয়সা খায়, তাদের জীবন নিয়ে যদি ছিনিমিনি খেলে, এ দুঃখ বলার জায়গা কোথায় আছে, আমাকে বুঝিয়ে বলুন। আইন দিয়ে তো এটা করা যাবে না। এটা মানুষের হৃদয়ের পরিবর্তনের দরকার, মনের পরিবর্তনের দরকার। মানবতা বোধ জাগ্রত হবার দরকার।’
বঙ্গবন্ধুর সেই অমিয় দর্শনকে মনে হয় ধারণ করেই আজ বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে সকল স্তরের স্বাস্থ্যসেবী, প্রশাসনিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ, গণমাধ্যম কর্মী, সুশীল সমাজসহ সকল নাগরিকের সচেতন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা করোনা প্রতিরোধে অনবদ্য ভ‚মিকা পালন করে চলেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতার কারণে এই সংক্রমণের ক্ষীপ্রমানতার যে চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে এর উত্তরণে দ্রæততার সাথে বাস্তবসম্মত সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে জাতিকে অনেক বেশি মূল্য দিতে হবে। অতএব বাক্য প্রকরণ ও বাচনিক প্রতিশ্রæতি নয়; বিদ্বেষ, বিরোধ, সহিংসতাকে পশ্রয় দেওয়ার মত কোন বক্তব্য নয় বরং ঐক্যবদ্ধভাবে আপামর জনগণের নির্ভিক সম্পৃক্ততায় এই করোনা যুদ্ধে আমাদের জয়ী হওয়ার ব্রত গ্রহণ করতে হবে। বাঙালি বীরের জাতি। বীরত্বের সাথে জাতি এই করোনা যুদ্ধে জয়ী হবেই ইনশাআল্লাহ – এই প্রত্যাশাই ব্যক্ত করছি।

লেখক: শিক্ষাবিদ, সমাজবিজ্ঞানী, সাবেক উপাচার্য- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়