করোনার হার্ড ইমিউনিটি’র গাণিতিক নির্মমতা

18

হার্ড ইমিউনিটি কি করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সহযোগিতা করবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষয়টি এতো সহজ নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি বিষয়ক পরিচালক ড. মাইক রায়ান হার্ড ইমিউনিটির বিষয়ে বেশ কিছু তিক্ত সত্য হাজির করেছেন। তিনি বলেছেন, মানুষরা পশু নয়। গত কিছুদিন ধরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে হার্ড ইমিউনিটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে যারা মনে করছেন, করোনার বিস্তার ঠেকাতে জারি করা লকডাউন অনেক বেশি কঠোর ও প্রত্যাহার করা উচিত, তারা জোরেশোরে হার্ড ইমিউনিটির কথা তুলে ধরছেন।
হার্ড কথার অর্থ হলো জনগোষ্ঠী। আর ইমিউনিটি হল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। সমাজের বেশিরভাগ মানুষের শরীরে যখন কোনও বিশেষ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা তৈরি হয়ে যায়, হয় টিকা গ্রহণ করে, নয়তো জীবাণু সংক্রমণের মাধ্যমে, আর তাতে সুবিধায় পায় অন্যরা, এপিডেমিওলজিতে এই ধারণাকেই বলা হয় হার্ড ইমিউনিটি।
করোনাভাইরাস মহামারিতে হার্ড ইমিউনিটির বাস্তবতা এখনও অনেক দূর, বিশেষ করে টিকা ছাড়া। ড. রায়ান জানান, হার্ড ইমিউনিটি শব্দবন্ধের প্রচলন পশুচিকিৎসার মহামারি বিদ্যা থেকে। মূলত এর মাধ্যমে বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পুরো পালের স্বার্থে কিছু পশুকে মরতে দেওয়ার। তিনি বলেন, নির্মম অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কোনও একক পশু এখানে বিবেচ্য না। ফলে আমরা যখন এই কথা মানুষের সংক্রমণের বিষয়ে বলি তখন সত্যিকার অর্থেই আমাদের সতর্ক হতে হবে। কারণ এর ফলে নির্মম গাণিতিক সিদ্ধান্তের দিকে আমাদের নিয়ে যেতে পারে যাতে মানুষের জীবন ও কষ্ট সমীকরণের মূলকেন্দ্রে থাকে না।