করোনার সঙ্গে তাপমাত্রার সম্পর্ক নেই

42

নতুন করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সঙ্গে তাপমাত্রার কোনও সম্পর্ক নেই। ইউরোপের যেসব দেশ করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে, সেসব দেশে ইতালি থেকে যাওয়া মানুষই বেশি। ইতালিই সেখানে ‘মূল সেন্টার’ হিসেবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সরকারের জাতীয় রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। গতকাল সোমবার কোভিড-১৯ নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর।
খবর বাংলা ট্রিবিউনের
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, নভেল করোনা ভাইরাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় টিকতে পারে না। কিন্তু কোনও দেশেই এত বেশি তাপমাত্রা নেই। তাই গ্রীষ্মকালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাবে, এ ভরসায় বসে থাকা যাবে না। সবাইকে সচেতন হতে হবে। চীনের বাইরে তুলনামূলকভাবে গত দুইদিনে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী বাড়ছে, তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আবার চীনকে ক্লোজলি মনিটরিং করছে বলেও জানান তিনি।
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, চীন ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান এবং ইতালিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দূতাবাসের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। সিঙ্গাপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বাংলাদেশিদের বিষয়ে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, সেখানে চিকিৎসাধীন ৫ বাংলাদেশির মধ্যে দুজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তিন জন এখনও হাসপাতালে। তাদের পরিস্থিতি একইরকম আছে। তিনি জানান, আইইডিসিআরে এখন পর্যন্ত ৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে কারও কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া যায়নি।
আক্রান্ত দেশ থেকে কেউ এলে তাদের নিজ বাসায় ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, তারা যদি আক্রান্ত কোনও রোগীর সংস্পর্শে এসে থাকেন তাহলে তাদের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর এই ভাইরাস দেহে প্রবেশের ১৪ দিনের মধ্যেই লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তখন যার মধ্যে লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দিচ্ছে, তাদের আইসোলেশনে নিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু যাদের মধ্যে লক্ষণ-উপসর্গ নেই, তাদেরও বাড়ির মধ্যেই সীমাবদ্ধ চলাচলের অনুরোধ করছি। সম্ভব হলে তারা একটি ঘরে থাকবেন। প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাইরে যাবেন না। গেলে মাস্ক পরে যাবেন।
তিনি জানান, স্ক্রিনিং কার্যক্রমে যেহেতু থার্মাল স্ক্যানারগুলোতে সমস্যা হচ্ছে তাই সব জায়গায় হ্যান্ডহোল্ড থার্মোমিটার দেওয়া হয়েছে। স্ক্রিনিং কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।