করে স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট ৫ জন হাসপাতালে

47

মিরসরাইয়ে খাবারের সাথে নেশাজাতীয় ঔষুধ মিশিয়ে পরিবারের সদস্যদের অজ্ঞান করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়েছে চোরের দল। বুধবার রাতে উপজেলার ২ নম্বর হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নুর হোসেন মাতবার বাড়ির কামাল হোসেনের বসতঘরে এই ঘটনা ঘটে। এসময় বসতঘরে থাকা ৮ সদস্যের মধ্যে ৫ জন সদস্য অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চোরের দল ২২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে বলে দাবী করেছেন ভুক্তভোগীরা। এসময় অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই পরিবারের ৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ জনকে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মস্তাননগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থরা হলেন- রফিয়া খাতুন (৭৫), ফেরদৌসী বেগম (৪৫), শিহাব উদ্দিন (১৫), জিয়া উদ্দিন (৫০), মোর্শেদা আক্তার (৩৫) ও মেরী আক্তার (২৮)। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ।
ওই ঘরের মালিক কামাল উদ্দিন বলেন, প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে আমার আম্মা আমাকে ডেকে বলেন তার গলায় ও কানে থাকা চেইন নিয়ে গেছে। এরপর দেখি আলমিরার দরজাও খোলা, আলমিরাতে থাকা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেই। এরপর আমার স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডাকলে সেও উঠে দেখে তার গলায় ও কানে থাকা স্বর্ণালংকার নেই এবং আলমিরাতে থাকা স্বর্ণালংকারও নিয়ে গেছে। এভাবে একে একে আমার দুই ছোট ভাইয়ের স্ত্রীদেরও গলায়, কানে থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। আমার ধারণা ভাতের মধ্যে কিছু চেতনানাশক মিশিয়ে দিয়েছে অথবা চোরের দলের কোনো সদস্য সন্ধ্যায় ঘরে ঢুকে কোথাও লুকিয়েছিল। অসুস্থদের মধ্যে ৪ জনের জ্ঞান ফিরলেও ২ জন এখনো অজ্ঞান হয়ে আছেন।
জোরারগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোজাম্মেল হক জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘরের দরজা জানালা সব অক্ষত কিন্তু চোরের দল কিভাবে ঘরের ভেতর ঢুকলো বুঝতে পারছিনা। তাছাড়া পরিবারের সদস্য ৬ জন অসুস্থ হলে ২ জন কিভাবে সুস্থ থাকে। আমার মনে হচ্ছে ওই পরিবারের কেউ এমন কাজ করেছে। তারপরও ভুক্তভোগীরা থানায় কোন অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।