কমিউনিটি সেন্টারসমূহ চালু করার অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

110

নগরীর সামাজিক অনুষ্ঠানসমূহের জন্য কমিউনিটি সেন্টারসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। চট্টগ্রাম কমিউনিটি সেন্টারসমূহে এলাকার জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে মানুষ মাথা গুজার ঠাঁইয়ের সন্ধানে সর্বত্র আবাসিক এলাকা গড়ে তোলায় মানুষের বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানাদি যেমন বিয়ে, বৌভাত, গায়ে হলুদ, মেজবান, বিভিন্ন ধরণের সভা, সেমিনার, ব্যাংক ও বিমা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করার জন্য কমিউনিটি সেন্টারের আবশ্যকতা রয়েছে বিধায় এলাকার সচেতন নাগরিক উপরোক্ত বিষয় চিন্তা করে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানে কোটি কোটি টাকা খরচ করে কমিউনিটি সেন্টার স্থাপন করেছে। কোভিড-১৯ এর কারণে বিগত মার্চ-২০২০ এর প্রথম থেকে সরকারি নির্দেশ মোতাবেক কমিউনিটি সেন্টারগুলি বন্ধ করা হয়। উক্ত কমিউনিটি সেন্টারগুলো কোভিড-১৯ এর আইসোলেশন সেন্টার, পুলিশ প্রশাসনকে থাকার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম কমিউনিটি সেন্টার মালিকগণ দীর্ঘদিন থেকে কমিউনিটি সেন্টারের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানাদি সুসম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সামাজিক দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করে আসছে। কমিউনিটি সেন্টারের কার্যক্রমের মাধ্যমে হাজার হাজার মালিক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, বার্বুচি, বয় সহ বিভিন্ন স্তরের লোকজন নিজেদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। দেশব্যাপি করোনা ভাইরাস এর প্রকোপ রোধকল্পে সতর্কমূলক ব্যবস্থা হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ বিগত ১৯ মার্চ ২০২০ ইং তারিখে কমিউনিটি সেন্টার সমূহের সামাজিক অনুষ্ঠানসমূহ পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সরকারি সিদ্ধান্ত মতে চট্টগ্রাম কমিউনিটি মালিক সমিতি তাদের ব্যবসা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখে। যাহা অদ্যাবধি বন্ধ রয়েছে। কমিউনিটি সেন্টারের ব্যবসার মালিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, বার্বুচি, বয় যেমন জড়িত তেমনি ভাবে ভিডিও সেন্টার, ফটোগ্রাফী, ইভেনম্যানেজমেন্ট, মাংস, মুরগী, সব্জি ও মুদির ব্যবসায়ীসহ অসংখ্য পেশার লোকের রুজি রোজগার এর প্রশ্ন জড়িত। ইতিমধ্যে মালিক কর্মকর্তাসহ কমিউনিটি সেন্টারের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন পেশার লোক মানববন্ধন, মতবিনিময় সভার মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছে। ইতিমধ্যে সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ৩১ মে ২০২০ হতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশব্যাপী অফিস আদালত ব্যাংক বিমাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান চালু করার নির্দেশ প্রদান করেছে। অথচ স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে হলেও কমিউনিটি সেন্টার চালু করার ব্যাপারে সরকারিভাবে কোন সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয় নাই। বর্তমানে দেশের মানুষ এক দু:সহ জীবন যাপন করছে। দীর্ঘ দিন হতে কমিউনিটি সেন্টার বন্ধ থাকায় এই শিল্প ধ্বংস হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কমিউনিটি সেন্টারের মালিকদের অপূরণীয় আর্থিক ক্ষতির কথা চিন্তা করে এবং কমিউনিটি সেন্টারের হাজার হাজার কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বয়দের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে স্বল্প পরিসরে কমিউনিটি সেন্টার সমূহ খুলে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম কমিউনিটি সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো: সাইফুদ্দিন চৌধুরী দুলাল, উপদেষ্টা ও প্যানেল মেয়র অধ্যাপক নেছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সহ-সভাপতি মো: আবদুল মালেক, আলহাজ্ব মো: আবদুল্লাহ, মো: গিয়াস উদ্দিন, এস এম মোস্তফা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুমার রাজেন দাশগুপ্ত, সহ সাধারণ সম্পাদক মো: সেলিম, অরুন দেবনাথ, মাসুদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি