কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে থাকতে পারে

41

বাংলাদেশে নভেল করোনা ভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন সীমিত আকারে হতে পারে বলে ধারণা করছে সরকারের রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট- আইইডিসিআর।
ইনস্টিটিউটের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা গতকাল বুধবার এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে নভেল করোনাভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, দু’টি জায়গায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংক্রমণের উৎস এখন পর্যন্ত চিহ্নিত করা যায়নি। আমরা দু’টি ক্ষেত্রেই ইনভেস্টিগেশন করেছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটার সোর্স অব ইনফেকশন জানা সম্ভব হয়নি। সেদিক থেকে ‘লিমিটেড স্কেলে’ কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে বলে আমরা বলতে পারি। লিমিটেড স্কেলে যে এলাকার কথা আমরা বলেছি সেখানে ট্রান্সমিশন হয়ে থাকতে পারে বলেই কিন্তু ওই এলাকাটিকে আমরা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ন্ত্রণে রেখে কার্যক্রম নিয়েছি।
যখন কোনো সংক্রমণের উৎস চিহ্নিত করা যায় সেটাকে লোকাল ট্রান্সমিশন বলে। সংক্রমণ পাওয়া গেলেও সেই তার উৎস চিহ্নিত করা না গেলে সেটা হলো কমিউনিটি ট্রান্সমিশন।
আইইডিসিআরের পরিচালক সেব্রিনা বলেন, ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বলার আগে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে হবে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে পেশ করতে হবে’।
এখন পর্যন্ত সারা বাংলাদেশব্যাপি কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে জানান তিনি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে একজনেরও কভিড-১৯ পাওয়া যায়নি। গতকালও যে নমুনা পরীক্ষা করেছি তাতে কভিড-১৯ পজেটিভ আসার হার কিন্তু খুব কম। তিনি জানান, তারা এখন হাসপাতালে আসা নিউমোনিয়ার রোগীর নমুনাও পরীক্ষা করছেন। এ ধরনের পরীক্ষায় এখন পর্যন্ত দু’জনের কভিড-১৯ পজেটিভ হয়েছে। পরবর্তীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে তাদের বিদেশ থেকে আসা মানুষের সংস্পর্শে আসার ইতিহাস পাওয়া গেছে। সেসব বিশ্লেষণ করে এখনও বাংলাদেশে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে তা বলা যাবে না।
গতকাল বুধবার পর্যন্ত বাংলাদেশে কভিড-১৯ এ মৃতের বেড়ে পাঁচজনে পৌঁছালেও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আর কেউ আক্রান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর। খবর বিডিনিউজের