কমছে সবজির দাম মাছ-মাংস স্থিতিশীল

323

সপ্তাহ ব্যবধানে নগরীতে ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করেছে সব ধরণের সবজির দাম। কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে শীতকালীন সবজি। অন্যদিকে মাছ মাংসের দাম গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। তবে বরাবরের মতোই সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ কম থাকায় কিছুটা বাড়তি পুকুরের মাছের দাম। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর বহদ্দারহাট কাঁচা বাজার এবং চৌমুহনী চউক কর্ণফুলী মার্কেট ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় সবজির দাম একটু কমেছে; সামনে আরও কমবে। কৃষি বিপণন অধিদফতর বলছে, এখন সবজির মৌসুম। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে ।
সবজি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে কয়েকটি সবজির দাম। সে অনুযায়ী টমেটো বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে ৪০ টাকা। গাজর কেজি ৫ টাকা কমে ৩৫ টাকা, শসা ৫০ টাকা (অপরিবর্তিত), ফুলকপি ৫ টাকা কমে ৩৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা (অপরিবর্তিত), বরবটি ৬০ টাকা (অপরিবর্তিত), মুলা ৩০ টাকা (অপরিবর্তিত), বেগুন ৪০ টাকা (অপরিবর্তিত), মিষ্টি কুমড়া ৫ টাকা কমে ৩৫ টাকা, লাউ ৩০ টাকা (অপরিবর্তিত), শিম ৫ টাকা টাকা কমে ৪৫ টাকা, নতুন আলু ১৫ টাকা কমে ৩৫ টাকা, পুরাতন আলু ২৫ টাকা (অপরিবর্তিত), ওলকপি ১০ টাকা কমে ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা (অপরিবর্তিত), শিমের বিচি ১০০ টাকা (অপরিবর্তিত), পেঁপে ১০ টাকা কমে ৪০ টাকা, মরিচ ৬০ টাকা (অপরিবর্তিত), মুখিকচু ৭০ টাকা (অপরিবর্তিত), খিরা ৫০ টাকা (অপরিবর্তিত), পেঁয়াজ পাতা ৪০ টাকা (অপরিবর্তিত) এবং ধনিয়া পাতা ৮০ টাকা (অপরিবর্তিত) কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
চউক কর্ণফুলী মার্কেটের বিক্রেতা জামশেদুল হক জানান, সবজির দাম মোটামুটি কমেছে।
সবজি ক্রেতা মাসুদের রহমান রিমন জানান, শীতকালীন সবজি এখন প্রচুর পরিমাণে রয়েছে, তাই দামও কমতি। তরতাজা দেখে বিভিন্ন রকমের সবজি কিনেছি।
শাকের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী আব্দুল শুক্কুর বলেন, প্রতি আঁটি লাল শাক ২০ টাকায়, মুলা শাক ২০ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা, পাট শাক ২০ টাকা, কচু শাক ২০ টাকা, মারিশ শাক ২০ টাকা, লাউ শাক ৩০, কচুর ফুল ৪০ টাকা, কলার মোচা ৪০, থানকুনি (২৫০ গ্রাম) ৩৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ কম থাকায় কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা করে বেড়েছে পুকুরের মাছের দাম। মাঝারি সাইজের কাতলা মাছ কেজিপ্রতি গত সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত থেকে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২০০ টাকা। কার্ফ মাছ প্রতিকেজি ১৮০ টাকা (অপরিবর্তিত) এবং তেলাপিয়া প্রতিকেজি ১২০ টাকায় (অপরিবর্তিত) বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে সরবরাহ কম থাকায় গত সপ্তাহের মতো বড় সাইজের চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়। কোরাল মাছ ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
গৃহিণী রহিমা আক্তার বলেন, সামুদ্রিক মাছ না থাকায় পুকুরের মাছ নিয়েছি। তবে একটু বাড়তি মনে হয়েছে।
মাংস বিক্রেতা সাহাব উদ্দিন জানান, বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ টাকা (রানের) ও হাঁড়সহ ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে খাসির মাংস কেজি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।
ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকায় (অপরিবর্তিত)। দেশি মুরগি বাজার ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা আর সোনালী মুরগি ২৩০ টাকায় (অপরিবর্তিত) বিক্রি হচ্ছে।
ডিম বিক্রেতা আবু বক্কর বলেন, লেয়ার মুরগির ডিম ৯০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৬০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া পূর্বদেশকে বলেন, সবজির বাজার এখন নি¤œমূখী। প্রকৃতির কোনো বিপর্যয় না ঘটলে কয়েকদিনের মধ্যে আরও কমার প্রত্যাশা করছি।