কবি শামসুর রাহমান ও সৈয়দ শামসুল হক স্মরণ

178

মোরা পত্র লেখক সমাজ (মোপলেস) চট্টগ্রাম এর উদ্যোগে গত ১ জুন শনিবার সন্ধ্যায় কদমমোবারক এম.ওয়াই উচ্চ বালক-বালিকা বিদ্যালয়ে বরেণ্য কবি শামসুর রাহমান ও সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক এর স্মরণানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সজল দাশ এর সঞ্চালনায় আবৃত্তিকার সজল চৌধুরী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মফিজুর রহমান। উদ্বোধক ছিলেন সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র কবি মোহাম্মদ জোবায়ের। বিশেষ আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পী ও সংগীত পরিচালক অচিন্ত্য কুমার দাশ, শিল্পী নারায়ণ দাশ, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক সুনিল কৃষ্ণ দে, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সনাতন চক্রবর্ত্তী বিজয়, চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের সাধারণ সম্পাদক কবি আসিফ ইকবাল, চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অমর কান্তি দত্ত, সুর দরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা: আশীষ চৌধুরী, গণসংগীত শিল্পী হানিফুল ইসলাম চৌধুরী, সংগঠক দিলীপ সেনগুপ্ত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোপলেস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সজল দাশ, উপস্থিত ছিলেন সংগঠক সুজিত চৌধুরী মিন্টু, সংস্কৃতিকর্মী রতন ঘোষ, প্রকৌশলী মো: এইচ.আর রশিদ নোবেল, অনিন্দ্য অথৈ, সংস্কৃতিকর্মী প্রিয়াংকা মÐল, রতন, আমির হামজা ও মো: জাফর আলম প্রমুখ।
প্রধান অতিথি মফিজুর রহমান বলেন, বরেণ্য কবি শামসুর রাহমান ও সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক ছিলেন বাঙালির সাহিত্যাকাশের বাতিঘর। তাদের চিন্তা-চেতনা ও মননে ছিল বাঙালি সাহিত্য, শিল্প ও সংস্কৃতি। বিশেষ করে দেশের সংকটময় মুহুর্তে তারা সাহসী ভূমিকা পালন করে গেছেন তাদের লেখনীর মাধ্যমে তারা দু’জনই ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার ও সত্যিকারের দেশপ্রেমিক মানুষ। তারা জীবিত অবস্থায় জাতীয় পুরস্কার সহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। মোপলেস এর পক্ষ তেকে বরেণ্য দুই জন গুণী ব্যক্তিকে নিয়ে স্মরণানুষ্ঠানটি স্বল্পপরিসরে হলেও এর তাৎপর্য বিশাল। এ জন্য সংগঠনের কর্মকর্তারা প্রশংসার দাবী রাখে। উদ্বোধক মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, কবি শামসুর রাহমানের অসংখ্য কবিতা রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আবৃত্তিকারেরা পাঠ করে।
সৈয়দ শামসুল হক যেমনি কবিতা লিখেছেন তেমনি নাটকও লিখেছেন তাঁরা আমাদের গর্ব ও অহংকার। ৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত তাঁদের সাহসী ভূমিকা ও অবদান জাতি কৃতজ্ঞ চিত্তে চিরদিন স্মরণ করবে। মোপলেস এর পক্ষ থেকে বারে বারে গুণী ও বরেণ্য ব্যক্তিদের স্মরণ করে আসছে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। সুতরাং তারাই বেশি করে সম্মানিত হচ্ছে। সভার সভাপতি সজল চৌধুরী বলেন, গুণী ব্যক্তিরা যুগে যুগে সম্মানিত হয় তাঁদের সৃষ্টিশীল কাজের জন্য। আর মোপলেস সম্মানিত হচ্ছে তাঁদের স্মরণ করার জন্য। স্মরণানুষ্ঠানে যারা উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানকে সফল করেছেন তিনি সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বিজ্ঞপ্তি