বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বর্তমানে কঠিন সময় অতিক্রম করছে। চট্টগ্রামে বন্দর এবং কাস্টমস্্ সুবিধায় তুলনামূলক ভাবে খরচ কম হলেও অন্যান্য সমস্যার কারণে চট্টগ্রামের পোশাক শিল্প বর্তমানে খুবই নাজুক অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে মিরসরাই ও আনোয়ারায় অর্থনৈতিক অঞ্চল, কর্ণফুলী টানেলসহ সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিকতায় বিদেশী বিনিয়োগসহ নতুন নতুন শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। এ ক্ষেত্রে বন্ড কমিশনারেট কার্যক্রম সহজীকরণ পূর্বক বিনিয়োগ ও রপ্তানিবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
গতকাল বুধবার নব-নিযুক্ত চট্টগ্রাম কাস্টমস্ বন্ড কমিশনারেটের কমিশনার মোহাম্মদ মাহাবুবুজ্জামানের সাথে বিজিএমইএ’র নেতৃবৃন্দের সাক্ষাতে বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অব্যাহতভাবে পণ্যের দরপতন, বিদেশি ক্রেতার পরিদর্শন সংস্থা অ্যাকর্ড অ্যালাইয়েন্সের সংস্কার কর্মসূচি প্রতিপালন, সর্বশেষ শ্রমিকদের মজুরি ৫১ শতাংশ বৃদ্ধিসহ নানা অবকাঠামোগত সমস্যায় ব্যবসা পরিচালনা ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। এ অবস্থায় ব্যবসা ধরে রাখার স্বার্থে, বর্তমানে প্রায় ৪০ শতাংশ রপ্তানিকারক উৎপাদন ব্যয়ের নিচে রপ্তানি আদেশ নিচ্ছে; প্রায় ৮৭ শতাংশ বিদেশি ক্রেতা পণ্যমূল্য বাড়ায়নি। উৎপাদন ব্যয়ের কমে প্রায় ৫০ শতাংশ কারখানা পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে বিগত অর্থ বছরের তুলনায় বর্তমান অর্থ বছরের প্রথম ৬ মাসে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাইনাস (-) ৬.২১ শতাংশ।
এ সময় চট্টগ্রাম কাস্টমস্্ বন্ড কমিশনারেট এর কমিশনার মোহাম্মদ মাহাবুবুজ্জামান বলেন, জাতীয় অর্থনীতি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ ব্যাপক কর্মসংস্থানে পোশাক শিল্পের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি দেশীয় শিল্প হিসাবে পোশাক শিল্পে বর্তমান মন্দাবস্থা উত্তরণে বন্ড কমিশনারেট ও বিজিএমইএ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে এবং আমদানিকৃত পণ্য চালানে এইচএস কোড সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি হলে বন্ড লাইসেন্সে এইচএস কোড সংযোজন একই কর্মদিবসে অনুমোদন প্রদান করা হবে বলে জানান।
তিনি পারস্পরিক আলোচনা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে বিরাজমান সমস্যাসমূহ দ্রæত সমাধান করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি এএম চৌধুরী সেলিম, পরিচালক এএম মাহবুব চৌধুরী, অঞ্জন শেখর দাশ, প্রাক্তন প্রথম সহ-সভাপতি নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, মঈনউদ্দিন আহমেদ (মিন্টু), প্রাক্তন পরিচালক ও কাস্টম বিষয়ক স্থায়ী কমিটি চেয়ারম্যান এমডি এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী। কাস্টমস্্ বন্ড কমিশনারেট অতি. কমিশনার ম. শফিউজ্জামান ও সহকারী কমিশনার সন্তোষ সরেণ।
সভায় মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক মোহাম্মদ মুসা, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, মোহাম্মদ আতিক, এনামুল আজিজ চৌধুরী ও প্রাক্তন পরিচালক লিয়াকত আলী চৌধুরী, কাজী মাহাবুব উদ্দিন জুয়েল, কাস্টম বিষয়ক স্থায়ী কমিটির কো-চেয়ারম্যান আবদুল আলীম আরিফ, মাহফুজুর রহমান, কমিটির সদস্য মো. হান্নান, ওয়াদুদ মো. চৌধুরী প্রমুখ।
