কক্সবাজার জেলায় ৫৩৮ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত

46

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র। এছাড়া জেলায় ৪৩০টি ইউনিটের আওতায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপির) ৬ হাজার ৪৫০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
‘ফণী’ মোকাবিলায় গতকাল বৃহস্পতিবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আশরাফুল আফসারের সভাপতিত্বে সভায় আবহাওয়া অফিস, বিদ্যুৎ অফিস, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, সিভিল সার্জন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফায়ার সার্ভিস, পৌরসভা, জেলা পুলিশ, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলায় কক্সবাজার জেলায় ৪৩০টি ইউনিটের আওতায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপির) ৬ হাজার ৪৫০ জন সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও ১ হাজার ৭শ’ জন স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছে। কক্সবাজার রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির আওতায় ১ হাজার ২শ’জন লোক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরমধ্যে ৭শ’জনকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায়, অন্যান্যদের জেলার বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষ থেকে ৮৯টি মেডিক্যাল টিমসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে ৬টি ইউনিটের ৩৬ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে ১৩৮জন লোক ও বিদ্যুৎ বিভাগের ৬টি টিম কাজ করবে বলে সভায় জানানো হয়েছে। পুরো জেলায় এসব আশ্রয় কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় শুকনো খাবারসহ সব ধরণের প্রস্তুতির কথা সভায় জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, ইতোমধ্যে জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলোকে সতর্ক রাখা হয়েছে। পাশাপাশি উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের কথা বিবেচনা করে কক্সবাজার ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনারের সঙ্গে আলাদাভাবে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এজন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগের সতর্কবার্তায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এজন্য উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।