কক্সবাজার এক মাসে ৩৪ কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার

31

কক্সবাজারের টেকনাফে ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদকবিরোধী অভিযান আরও জোরাদার করেছে। এরপরও প্রতিদিন কোনও না কোন উপায়ে ইয়াবা আসছে। মাদক ব্যবসায়ীরা ইয়াবা আনার পথ পরিবর্তন করেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের দাবি, ফেব্রুয়ারিতে পৌনে ৩৪ কোটি টাকা মূল্যের ইয়াবা উদ্ধার করেছে। যে কোনোভাবে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য আসা বন্ধ করতে তারা তৎপর রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে ১১ লাখ ২০ হাজার ২৫১ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩৩ কোটি ৬০ লাখ ৭৫ হাজার ৩০০ টাকা। ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকায় ৩১৩ জনকে গ্রেপ্তার এবং ১৫৫টি মামলা করা হয়েছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করে। খবর বাংলানিউজের
এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার বন্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। ইয়াবার চালান দেশে প্রবেশ করছে এটি অস্বীকার করার কিছুই নেই। প্রতিদিন কোনও না কোনও সংস্থার হাতে ধরা পড়ছে ইয়াবার চালান। মাদকবিরোধী অভিযানে গত দুই সপ্তাহে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে ৭ ইয়াবা কারবারি। এর আগে কক্সবাজার জেলায় নিহত হয়েছে ৩৭ জন। এরপরও কেন এবং কীভাবে ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক দেশে প্রবেশ করছে তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এ কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নতুন কৌশলে মাঠে নামানো হয়েছে। আমরা চাই যে কোনও উপায়ে ইয়াবা পাচার বন্ধ হোক। এজন্য আমরা জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি।
কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল বলেন, আমাদের জনবল কম। এরপরও মাদকবিরোধী অভিযানে আমার সদস্যরা বিরামহীনভাবে কাজ করছে। বিশেষ করে জেলার খুচরা ইয়াবা বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে। এতে করে ইয়াবা কারবারিদেরকেও আটক করতে সক্ষম হচ্ছে।
র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান বলেন, ইয়াবাসহ মাদকবিরোধী অভিযানে র‌্যাব সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। বিশেষ করে ইয়াবা কারবারিরা নিরাপদ রুট হিসেবে সাগর পথ বেছে নেওয়ায় সেখানে নজরদারি বৃদ্ধি করছে র‌্যাব।
বিজিবি’র টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আছাদুদ-জামান চৌধুরী বলেন, ইয়াবার চালান ঠেকাতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে প্রতিদিন ইয়াবাবিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে। একইসঙ্গে ইয়াবা প্রবেশ ঠেকাতে এলাকায় সামাজিকভাবে জনসচেতনা সৃষ্টি করতে কাজ করছে বিজিবি।