কক্সবাজারে পর্যটক হয়রানিরোধে ৬ সতর্কবার্তা

37

শীত মৌসুম আসলেই কক্সবাজারে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ে। ওই সময়ে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও মাঝে মধ্যে ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা। এসব ঘটনা এড়াতে এবার মৌসুম শুরুর আগেই বিভিন্ন সতর্কবার্তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
গতকাল রবিবার দুপুরে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মুসা নাসের চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পর্যটন সেল সূত্রে জানা যায়, সমুদ্র সৈকতের অন্তত ৪টি পয়েন্টে পর্যটক হয়রানির জন্য ক্যামেরাম্যানদের দায়ী করা হয়।
যা জেলা প্রশাসন পর্যালোচনা করে তার প্রমাণও পায়। এ কারণে আগামী মৌসুমে পর্যটক হয়রানি বন্ধে এসব ক্যামেরাম্যানসহ সংশ্লিষ্টদেরকে লাবণী পয়েন্টে জড়ো করে এসব সতর্কবার্তা দেন পর্যটন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী।
জেলা প্রশাসনের সতর্কবার্তাগুলো হল- পর্যটকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ বন্ধ, নির্দিষ্ট মূল্যে ছবি উঠাতে হবে, ক্যামেরাম্যানরা বিচ এলাকা ছাড়া অন্যান্য এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে পারবে না, লাল রংয়ের দেয়া টি-শার্ট পরিধান করতে হবে, পর্যটকদের ছবি তোলার জন্য জোর করা যাবে না। এসব নির্দেশনা কেউ ভঙ্গ করলে আইনি ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মুসা নাসের চৌধুরী জানান, সমুদ্র সৈকতের দুইটি পয়েন্টে জেলা প্রশাসনের অভিযোগ বক্স রয়েছে। সেখানে স¤প্রতি দেয়া অভিযোগ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বেশিরভাগ অভিযোগ ক্যামেরাম্যানদের বিরুদ্ধে। তাই ওইসব কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য তাদের সতর্ক করা হয়েছে। যদি কেউ নিয়ম ভঙ্গ করে, তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আশরাফুল আফসার জানান, জেলা প্রশাসন কখনো পর্যটক হয়রানি মেনে নেবে না। তাই আজকে মৌসুম শুরুর আগে সবাইকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। যদি কেউ না মানে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অন্যদিকে, পর্যটকদের ভ্রমণে গত ১ নভেম্বর থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চালু করা হয়েছে। প্রতিদিনই ৩টি জাহাজে করে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যেতে পারবে প্রায় দেড় হাজার পর্যটক।