কক্সবাজারের বড়বাজারে রাস্তায় দোকানের মালামাল

54

কক্সবাজার শহরের বড়বাজারে দোকানের মালামাল রেখে অধিকাংশ রাস্তা দখল করে রেখেছে ব্যবসায়ীরা। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে পথচারীরা। রাস্তা সরু হয়ে যাওয়ায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে আর বাড়ছে দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এন্ডারসন সড়ক, হকার মার্কেট, সমবায় মার্কেট সুপার মার্কেট এলাকা, পৌর সুপার মার্কেট এলাকা, বড় বাজার জামে মসজিদ সড়ক, বড় বাজার কাঁচা বাজার, মাছ বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ী দু’পাশের রাস্তা দখল করে মালামাল রেখেছে। যার ফলে সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে রাস্তা। তাছাড়া পৌর সুপার মার্কেটের চারপাশে অবৈধ সিএনজি স্টেশন পথচারীদের ভোগান্তি দ্বিগুণ করেছে। সকাল থেকে রাত অবধি এখানে তীব্র যানজট লেগে থাকে। তাছাড়া প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় নানা দুর্ঘটনা। ব্যবসায়ীদের রাস্তায় মালামাল না রাখতে শতবার বারণ করা হলেও তাতে কোন কর্ণপাত করে না তারা। সম্প্রতি কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বড় বাজারে রং দিয়ে দোকানে সামনে দাগ টেনে দেন। যাতে রাস্তার উপর মালামাল না রাখতে পারে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের অনুরোধও করা হয়। কিন্তু কে শুনে কার কথা। মেয়র যাওয়ার পরক্ষণেই সব ভুলে রাস্তার উপরেই মালামাল রাখে ব্যবসায়ীরা।
খোদ দোকান মালিক ফেডারেশনের সভাপতি মোস্তাক আহমদ নিজের দোকানের মালামাল রেখেছেন রাস্তার উপর। তাবে অনুসরণ করেই অন্য ব্যবসায়ীরা একই পথ অবলম্বন করছে বলে জানান স্থানীয়রা। বড়বাজারের পূর্ব রাখাইন পাড়ার সাথে লাগোয়া সড়কে প্রবেশ করায় মুশকিল। সড়কটি এমনিতেই ছোট। তার উপর ব্যবসায়ীরা সবজি ও মুদি ব্যবসায়ীরা মালামাল রেখে দখল করে রেখেছে দীর্ঘদিন ধরে। এই সড়ক দিয়ে যানবাহনও চলাচল করতে পারেনা। গত সোমবার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জয় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ব্যবসায়ীদের লাখ টাকা জরিমানা করেন। গত রোববার সকালে এখানে রাস্তার উপর মালামাল রাখার দায়ে জাহাঙ্গীর, ইউছুফ ও আমিন নামের তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেন মোবাইল কোর্ট। এসময় অন্যান্য ব্যবসায়ীদের রাস্তায় কোন পণ্য না রাখতে সতর্ক করে একদিনের মধ্যে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু এই আদেশ এখনও অমান্য করছে ব্যবসায়ীরা।
বাজারের ক্রেতারা জানান, ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে বাজারের দু’পাশ দখল করে রেখেছে। কেউ তাদের কিছু বলতে পারে না। বললে হিতের বিপরীত হয়। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, বাজারে রাস্তায় মালামাল রাখার দায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে ব্যবসায়ীদের। পুরো রমজান মাস জুড়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে থাকবে মোবাইল কোর্ট। কয়েকদিনের মধ্যে বড়বাজারে শৃঙ্খলা ফিরবে।