ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

47

সিরিজ নিশ্চিতের ম্যাচ। এর ওপর আবার আগের ম্যাচের হারের ধাক্কা। দুয়ে মিলে বাংলাদেশ শুরু থেকেই ছিল আক্রমণাত্মক। অসাধারণ বোলিংয়ের পর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়টা এলো তাই সহজেই। সিলেটের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে স্বাগতিকরা।
একা হাতে লড়ে যাওয়া শাই হোপের অসাধারণ সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ক্যারিবিয়ানরা ৯ উইকেটে করেছিল ১৯৮ রান। সহজ এই লক্ষ্য তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের চমৎকার দুটি ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়ে ১১.৩ ওভার আগেই টপকে যায় বাংলাদেশে। হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন তামিম অপরাজিত ছিলেন ৮১ রানে, আর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সৌম্য করে যান ৮০ রান।
পাল্লা দিয়ে রান তুলেছেন তামিম ও সৌম্য। ২৩ রান করা লিটন দাসের আউটের পর রানের প্রতিযোগিতায় কখনও তামিম এগিয়ে গেছেন তো, পরক্ষণে এগিয়েছেন সৌম্য। হাফসেঞ্চুরির দৌড়ে তামিমই এগিয়ে ছিলেন, কারণ সৌম্যর আগে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন তিনি।
তবে ফিফটি পূরণের পর তামিমকে টপকে যান সৌম্য। ওদিকে জয়ের লক্ষ্য কাছে চলে আসায় রান তোলায় প্রতিযোগিতায় নতুন উত্তেজনা তৈরি হয় সেঞ্চুরি পূরণ নিয়ে। যে কোনও একজনের পক্ষে শতক পাওয়া সম্ভব, এমন অবস্থায় তামিম সম্ভবত সুযোগটা করে দিয়েছিলেন এগিয়ে থাকা সৌম্যকে। এই ব্যাটসম্যানকে বেশি করে স্ট্রাইক দেওয়া এবং একই সঙ্গে তার ব্যাটিংয়েও সেটা ধরা পড়েছে স্পষ্ট।
যদিও সৌম্য সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি। কিমো পলের বলের বোল্ড হয়ে তাকে ফিরতে হয় ৮০ রানে। ৮১ বলের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ৫ চার ও ৫ বিশাল ছক্কায়। যদিও দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছেন তামিম। বাংলাদেশের সেরা ওপেনার ১০৪ বলে অপরাজিত ছিলেন ৮১ রানে, যাতে ছিল ৯ বাউন্ডারির মার। তার সঙ্গে দলের সিরিজ জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন ১৬ রান করা মুশফিকুর রহিম।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু ক্রিজের একপ্রান্ত দারুণভাবে আগলে রাখেন শাই হোপ। তারা টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ক্যারিবিয়ানরা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে করেছে ১৯৮ রান। হোপ ১৩১ বলে ১০৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। ১২১ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে চতুর্থ সেঞ্চুরি পূরণ করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
একাই দলকে উদ্ধার করেছেন হোপ। তার ধারে কাছেও রান করতে পারেননি অন্য ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান এসেছে মারলন স্যামুয়েলসের ব্যাটে। এছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পেরেছেন কেবল ড্যারেন ব্রাভো (১০) ও কিমো পল (১২)।
শুরুতেই মিরাজের স্পিনে দিশেহারা হয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৯৯ রানে প্রতিপক্ষের হারানো ৫ উইকেটের ৪টিই তার শিকার। চন্দরপল হেমরাজ, ড্যারেন ব্রাভো, শিমরন হেটমায়ার ও রোভম্যান পাওয়েলের উইকেট নেন মিরাজ। ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার তিনি।