ওড়ে ইকারুস

50

সীমার ওপরে উড় না, কড়া রোদে পুড়ে যাবে ডানা
নেমো না অধিক নিচে, সমুদ্রের জলশ^াসে খোয়াবে পালক
কারিগর ডিডেলাস, ডানা পেলে
মানুষেরা হয়ে যায় পাখির অধিক উড়ালপ্রবণ

দেখো-পুত্র ইকারুস উড়ার আনন্দে
সূর্য ছুঁতে গিয়ে রোদের অগ্নিতে পোড়ায় ডানা
পোড়া পালক সমুদ্রে ডুবিয়ে
ভেঙে ফেলে দুই নিষিদ্ধ সীমা-
হা পিতা ডানার কারিগর, তবুও ক্লান্তিহীন বানাও মুক্তির ডানা
ইকারুস উডুক
পুড়ুক; লাগবে না অনর্থক জীবনবিমা

এই আছি এই নেই
সাঈদুল আরেফীন

এই আছি এই নেই, হঠাৎ হারিয়ে যাচ্ছি জীবন থেকে
আসছি-যাচ্ছি, জীবনটাকে পরখ করছি,
কী পেয়েছি, কী পাইনি, দুঃখ-অনুভবে লড়ছি ,
নিজেকে যাচাই করছি: বেঁচে থাকার শিকড় খুঁজছি,
অবলম্বনহীন
স্রোতের সহস্রধারায় উন্মাতাল কষ্টের নদী
পার করছি,
দ্রæত ধাবমান পাহাড়ি ঝর্নায় রক্তক্ষরণ করছি হৃদয়ের।
শৈল্পিক সাহিত্যেও কর্ষিত জমিতে বিমুগ্ধ ফসলের
লাবণ্য ধরা দেবে, না দেবে এই অনাকাক্সিক্ষত চোরাবালিতে
পিছলে পড়ে নিষ্পলক হারাতে পারি নিজেকে,
চঞ্চল সৌম্য সময়ের
অনাবাদী জমি পতিত থেকে যাবে জীবন নামের স্টেশনে।

জীবনাঙ্কের হিসেবের খাতায়
গতকাল চলে গেছে, আগামী আসবে, কিম্বা বসন্তময় দিন
ফুরিয়ে গেছে, কোন এক অন্য আগামীর রথে
না বলা কথার দিন বুঝি শুরু হলো,
প্রসন্ন প্রহরে আগামীর হতে পারে কোন উৎসব
মরণ নামের স্টেশনে নিবু নিবু আলো জ্বলতে থাকবে,

উৎসবের লেনদেন বুঝি এরকমই হয়, ম্রিয়মাণ
না বলা কথার প্রতিধ্বনি হয়ে ওঠে কখনো সখনো,
তবুও খুজছি আতঙ্কে দুঃখময় বেহায়া ঘুমোট সকালের
জীবন নদী, খেয়াঘাটে ভিড় করছি, অনাগত কোন
এক টুকরো ফসলী জমিতে গা ভাসাবো বলে,
আসা যাওয়ার দোলাচলে দুলছি, মানসিক যন্ত্রণাঘাতের
নির্জন প্রহরে
পাড়ি দিচ্ছি অথৈ সাগর, কান্না-হাসির আবেগী জলছবি
দুমড়ে মুচড়ে একাকার হচ্ছি বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের মতো
হয়তো কোন এক শুভ্র সকাল আলো জ্বালাবে
নয়তো ঠাঁই নেবো নিরাবেগী মনের
অভিযুক্ত এক দন্ডিত আসামি হবো বিচ্ছিন্ন বদ্বীপের
আলো আঁধারিতে।