ওসি-ট্রাফিক পরিদর্শকের মধ্যে বাকবিতন্ডা

199

কর্ণফুলী থানার ওসির (তদন্ত) আত্মীয় হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালককে মামলা দেয়ার জেরে ওসি ও ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই)’র মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেল চালককে মামলা দেয়ার পর চালকের কাছ থেকে ট্রাফিক পুলিশ গাড়ির কয়েকটি কাগজপত্র জব্দ করেন। তবে চালক ট্রাফিক পুলিশের কাছ থেকে মামলার কাগজ গ্রহণ না করে স্থান ত্যাগ করেন। এর ২০ মিনিট পর চালকের বিরুদ্ধে মামলা দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে এসআই দিদারুল আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল মইজ্জ্যারটেকে পৌঁছে। এরপর ওসির নেতৃত্বে একটি দল এবং পরে সিভিলে আরো দুটি পুলিশ টিম সেখানে উপস্থিত হয়। এ সময় পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের মধ্যে বাক বিতন্ডার ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য, ওসি ছুটিতে থাকায় ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ জোবাইর থানার দায়িত্বে আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রবিবার কর্ণফুলী জোনের ট্রাফিক পুলিশ নিয়মিত চেকপোস্ট বসিয়ে ত্রুটিযুক্ত গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেন। বিকাল ৩ টায় নগরীর দিকে চট্টমেট্রো চ ১৪-৫০৮৮ নম্বরের মোটরসাইকেল চালক চন্দনাইশের বাসিন্দা মিনহাজকে মামলা দেয়া হয়। এর ২০ মিনিট পরই এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী জোনের টিআই (ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক) মোহাম্মদ মামুন জানান, নগরীর দিকে যাওয়ার পথে ওই মোটরসাইকেল চালকের হেলমেট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় কয়েকটি কাগজপত্র জব্দ করেন সার্জেন্ট সঞ্জয়। এরপর মামলা দেয়া হয়। কিন্তু গাড়ি চালক মামলার কাগজ না নিয়ে চলে যান। এরপর প্রথমে কর্ণফুলী থানার এসআই দিদারুল আলমের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে মোটরসাইকেলটি পুলিশের দাবি করেন এবং টিআই’র কাছে জানতে চান পুলিশের গাড়িতে মামলা দেয়ার কারণ। জুনিয়র অফিসার হয়ে সিনিয়র অফিসারকে এ ধরনের প্রশ্ন এবং পুলিশের গাড়িতে মামলা দিতে নিষেধ আছে কিনা জানতে চান টিআই মামুন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এরপর ওসি (তদন্ত) জোবাইয়ের নেতৃত্বে একটি এবং সিভিলে আরও একটি টিম সেখানে পৌঁছে। ওই সময় ত্রিমুখী বাকবিতন্ডায় শত শত সাধারণ পথযাত্রী এবং গাড়ির চালক জড়ো হয়। মামলা দেয়ায় ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শককে (টিআই) ওসি দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
কর্ণফুলী থানার এসআই দিদারুল আলমের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ওসির নির্দেশে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন বলে জানান। এছাড়া মোটরসাইকেল চালকের বিরুদ্ধে মামলাসহ বিস্তারিত জানতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার অনুরোধ করেন তিনি।
কর্ণফুলী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহেদুল ইসলাম জানান, মোটরসাইকেল চালকের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার ঘটনায় পুলিশ ও ট্রাফিকের সাথে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে।
পুলিশ বা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া যাবে না- এমন কোন বিধান আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন কোন বিধান নেই। ওসি যা করেছেন ভুল করেছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ জোবাইর জানান, ওই মোটরসাইকেল চালক তার আত্মীয়। টিআইকে তিনি মামলার বিষয়ে কথা বলতে নয়, দায়িত্ব পালন করতে সেখানে গিয়েছিলেন। ট্রাফিক পুলিশ আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়েছেন। মামলা দিতে আইনগত বাধা নেই।