ওষুধের কাঁচামাল দেশেই তৈরির তাগিদ

28

আমদানি নির্ভরতা কাটিয়ে ওষুধের কাঁচামাল দেশেই তৈরিতে তাগিদ দিয়েছেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম। ঢাকায় গতকাল শনিবার এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমাদের ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল এখনও প্রায় ৯৫ ভাগই আমদানি নির্ভর। স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে আমরা শুল্ক ছাড়ে এই পণ্যটি আমদানি করতে পারি। কিন্তু বাংলাদেশ যখন উন্নয়নশীল দেশ হবে তখন এই সুযোগ আর থাকবে না। তবে আমরা ২০২৭ সাল পর্যন্ত শুল্ক ছাড়ের সুযোগ পাব। এ সময়ের মধ্যে ওষুধ তৈরির কাঁচামাল দেশে তৈরি করতে না পারলে তাহলে এই ওষুধ তৈরিতে আমরা বেকায়দায় পড়ব। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। খবর বিডিনিউজের
মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সম্মেলন কক্ষে ‘ওষুধ তৈরির কাঁচামাল: প্রত্যাশা এবং চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর স্বাগত বক্তব্য দেন।
ওষুধের কাঁচামাল তৈরিতে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “উন্নত দেশগুলো এই খাতে কিভাবে এগিয়েছে তা জানার জন্য আমাদের গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টায় পোশাক খাতের উত্থান যেভাবে হয়েছে, ওষুধ শিল্পের উত্থানও সেভাবে হতে পারে।”
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মো. রুহুল আমিন বলেন, ২০২৭ সাল পর্যন্ত শুল্ক ছাড়ে ও কাঁচামাল আমাদনির সুযোগ পেলেও এরপর চাপে পড়ব। তাই ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনে অন্যান্য দেশের এ বিষয়ে পারদর্শী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
মূল প্রবন্ধে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ওষুধ তৈরির কাঁচামাল দেশেই তৈরি করতে হবে এবং উন্নত কাঁচামালও হতে হবে। তা নাহলে আমদানি করা কাঁচামাল দিয়ে বাংলাদেশ ওষুধ রপ্তানিতে ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
দেশে ওষুধ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশের ওষুধের আন্তর্জাতিক বাজার বাড়াতে মানসম্পন্ন কাঁচামাল দেশেই তৈরি করতে হবে বলে তিনি জানান।