ওজন কমাতে ক্যালরি খরচের পরিমাণ

56

অতিরিক্ত পানির পরিমাণ কমানো আর চর্বি ঝরানো এক কথা নয়। সহজ কথায়, এক পাউন্ড ওজন কমানোর মানে হচ্ছে ক্যালরি কম গ্রহণ করা। তবে এক পাউন্ড ওজন কমতে কতটা ক্যালরি খরচ করতে হবে সেটা নির্ভর করে ওজন এবং উচ্চতার ওপর। প্রচলিত ধারণা আছে, ৩,৫০০ ক্যালরি ঝরাতে পারলে এক পাউন্ড ওজন কমবে। তবে এই হিসাব সব ক্ষেত্রে ঠিক নয়।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদনে, নিউ ইয়র্কের মেডিকেল ওয়েট ম্যানেজমেন্ট কার্যক্রমের পরিচালক ডা. হলি লফটন বলেন, “কত ক্যালরি খরচ করলে এক পাউন্ড ওজন কমবে সে বিষয়ে একক কোনো উত্তর নেই। তবে অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ব্যক্তিবিশেষে ২০০০ থেকে ৪০০০ ক্যালরি খরচ করতে পারলে এক পাউন্ড ওজন কমে।”
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কোয়ার্টার পাউন্ড পনিরে সাধারণত ৫৩০ ক্যালরি থাকে। আলু ভাজায় ২৩০ ক্যালরি
এবং চিনিযুক্ত কোমল পানীয়তে থাকে ৭০ ক্যালরি। তবে খাবারের ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করে।
ডা. লফটন বলেন, “উচ্চ আঁশযুক্ত খাবারের সঙ্গে অল্প ক্যালরির সবজি যেমন- কপি, ব্রকলি এবং পালংশাক পেট ভরা অনুভূতি দেয়। ফলে ক্যালরি গ্রহণ করা হয় কম।”
যুক্তরাষ্ট্রের মায়ো ক্লিনিকের পুষ্টিবিদ ডা. জেসন ইওল্ডট বলেন, “এক্ষেত্রে প্রোটিনটাও জরুরি। কারণ প্রোটিন শরীরের তাপ বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে জৈবিক প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পায়। যে কারণে চর্বিও খরচ বেশি হয়।”
উল্টা ভাবে বেশি কার্বোহাইড্রেইট গ্রহণ করলে ইন্সুলিনের নিঃসরণ বাড়ে, যা চর্বি হিসেবে শরীরে জমা হয়।
ওজন কমাতে আসলে যা করণীয় সোজা কথায়, যতটা গ্রহণ করা হবে তার চেয়েও বেশি ক্যালরি খরচের মাত্রা বাড়াতে হবে।
ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ওয়েট অ্যান্ড ওয়েলনেস’য়ের পরিচালক স্কট কাহান বলেন, “মানুষের খুব খারাপ অভ্যাস হচ্ছে কতটা খাচ্ছে সেটার হিসাব না রাখা। দুপুর ও রাতের খাবামের মধ্যবর্তী সময়ে আরও অনেক কিছুই যে খাওয়া হয়ে যায় সেটার কথা মনে থাকে না।”
আসল বিষয় হল ব্যায়াম। ডা. লফটন পরামর্শ দেন, “সপ্তাহে ১৮০ মিনিট লাফঝাপ দেওয়ার মতো ব্যায়াম করলে দেহের বাড়তি ওজন কমে তাড়াতাড়ি।”
পাশাপাশি কমাতে হবে ক্যালরি গ্রহণের অতিরিক্ত মাত্রা। তবেই দেহের অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব হবে।