ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে : বীর বাহাদুর

30

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহŸান জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে চলমান সংঘাত নিরসনে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি করেন। ফলে পাহাড়ে সূচিত হয় শান্তি, স¤প্রীতির নবযুগ।
গতকাল সোমবার পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর। মন্ত্রী আরও বলেন, কোনো অঞ্চলকে পিছিয়ে রেখে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সাধিত হয় না। এ উপলব্ধি থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য শান্তিচুক্তির উদ্যোগ নেন। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সে প্রেক্ষাপটে ১৯৯৮ সালের ১০ ফেব্রূয়ারি খাগড়াছড়ি জেলা স্টেডিয়ামে শান্তি বাহিনীর সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন।
পার্বত্য শান্তি চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ইতোমধ্যে ৬৩টি বাস্তবায়িত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আরও ৯টি বাস্তবায়নের জন্য প্রক্রিয়াধীন। মন্ত্রী আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ফলে পাহাড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে। পর্যটনশিল্পের বিকাশ হচ্ছে, ফলে স্থানীয় অর্থনীতিও বিকশিত হচ্ছে। খবর বাংলানিউজের
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বিকাশ, সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য রাজধানীর বেইলি রোডে ১৯৪ কোট টাকা ব্যয়ে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মিত হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পার্বত্যবাসীর উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডগলাস সিম্পসন, হেলেন কিলারের কনসালট্যান্ট আবদুল হাই তালুকদার, ইউএনডিপির এমওয়াই খান মজলিস, অতিরিক্ত সচিব সুদত্ত চাকমা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।