এ্যাপোলো হসপিটালে খাদ্যনালি ক্যানসারের সফল অস্ত্রোপচার

56

সিলেটের ৩৮ বছর বয়সী নাজার বেগম এর গলার খাদ্যনালির ক্যানসার নির্ণীত হয় গত বছরের জুলাই মাসে। শুরুতে তিনি ডা. বিশ্বজিত ভট্টাচার্যের তত্ত¡াবধানে কেমো রেডিয়েশন গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে অ্যাডভান্সড ল্যাপারোস্কপিক সার্জারির অগ্রদূত অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করেন। ডা. মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন ল্যাপারোস্কপির মাধ্যমে (পেট না কেটে ছিদ্রের মাধ্যমে) প্রথমে পেটে ক্যানসারের বিস্তৃতি পরীক্ষা করেন, এরপর লিভারের সন্দেহজনক কিছু অংশ কেটে হিস্ট্রোপ্যাথোলজি ল্যাবে পাঠিয়ে দেন। ক্যানসার ছড়িয়ে না যাওয়ার হিস্ট্রোপ্যাথোলজি ফলাফল পাওয়ার পর পুরো পাকস্থলী এবং গলার খাদ্যনালির নীচের অর্ধেকের বেশি অংশ পুরোপুরি মোবালাইজকে তার অবস্থান থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেন। এরপর ক্যানসারে আক্রান্ত অংশ কেটে ফেলে দিয়ে খাদ্যথলির বাকি অংশটুকু দিয়ে টিউব-এর মতো করে নতুন খাদ্যনালি এবং খাদ্যথলি তৈরি করে তা বুকের মধ্যে দিয়ে গলার দিকে টেনে নিয়ে এসে গলার মাঝামাঝি অংশের মূল খাদ্যনালির সাথে জুড়ে দেন। রোগী বড় কোনো রকম জটিলতা ছাড়াই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান।
গলার খাদ্যনালির ক্যানসার অন্যান্য ক্যানসার-এর তুলনায় অত্যন্ত ভয়াবহ। এই রোগের সার্জারির ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ই পেটের সাথে বুকও কাটতে হয়, যা রোগীর জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং রোগীদের সার্জারির পরবর্তী অনেক জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়। এমনকি অনেকে মারাও যান। ল্যাপারোস্কপির সহায়তায় খাদ্যনালি, খাদ্যথলি এবং পরিপাকনালির বিভিন্ন অংশ অতি সহজেই বড় কোনো জটিলতা ছাড়াই অপারেশন স¤পন্ন করা যায়। দেশে সর্বপ্রথম ডা. মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন ল্যাপারোস্কপির সহায়তায় এই ধরনের অ্যাডভান্সড ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি দক্ষতার সাথে স¤পন্ন করছেন। তিনি কিছুদিন পূর্বেও ল্যাপারোস্কপির মাধ্যমে খাদ্যথলি ক্যানসারের সফল সার্জারি করেন। বিদেশের তুলনায় এ্যাপোলো হসপিটাল্স ঢাকায় এই ধরনের অ্যাডভান্সড ল্যাপারোস্কপিক সার্জারির খরচ ৩/৪ গুণ কম। বিজ্ঞপ্তি