এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের বিবৃতি

66

এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) চট্টগ্রাম অঞ্চলের চেয়ারম্যান আলহাজ মুহাম্মদ আবু জাফর ও সচিব আলহাজ এইচ.এম. মুজিবুল হক শুক্কুর এক যুক্ত বিবৃতিতে চট্টগ্রামসহ সারাদেশ হতে আশাতিত ওমরা হজযাত্রী বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং বিভিন্ন কারণে একের পর এক ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামে মধ্যপ্রাচ্যগামী হাজার হাজার যাত্রী ফ্লাইট সংকটে পড়েছে। অন্তত ১০ হাজার ওমরা যাত্রী টিকেটের অভাবে আটকা পড়ার আশংখা রয়েছে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে ছুটি কাটাতে আসা কয়েক হাজার মানুষ টিকেটের অভাবে ফিরতে পারছেন না। এদের অনেকেরই ভিসা বাতিল হওয়ার মত সংকট তৈরি হয়েছে। বিশ হাজার টাকার বিমানের টিকেট কিনতে হচ্ছে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে। টাকা দিয়েও টিকেট না পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জরুরী ভিত্তিতে বাংলদেশ বিমান ও সৌদিয়ার ফ্লাইট বৃদ্ধি করে ওপেন স্কাই ঘোষণা করে থার্ড ক্যরিয়ারকে ¯øট দিয়ে যাত্রী পরিবহনের ব্যবস্থা না করলে সংকট তীব্র হতে পারে। আটাব নেতৃবৃন্দ বলেন, রমজানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ সৌদি আরব যাতায়াত করেন। ওমরা হজ্ব করার জন্য প্রায় ১ লাখ মানুষ সৌদি আরব যান। এর মধ্যে রমজানে যান অন্তত ২০ হাজার। যা এ বছর প্রায় দ্বিগুণ। এতেক্বাফের নিয়তে চট্টগ্রাম থেকে অনেক মানুষ ওমরা করতে যান। এর বাইরে বিপুল সংখ্যক পর্যটক দুবাই-আবুধাবিসহ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাতায়াত করেন। ওমরা ও পর্যটক ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতারসহ বিভিন্ন দেশে লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশি নানা কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। রোজায় ওমরার যাত্রী সহ অন্যান্য যাত্রী মিলে বিপুল সংখ্যক মানুষ মধ্যপ্রাচ্যে যাতায়াত করেন। বাংলাদেশ বিমান ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ফ্লাইটের ওপর যাত্রীদের আসা যাওয়া নির্ভর করে। তৃতীয় দেশ হিসেবে ভারতের জেট এয়ারওয়েজ ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের প্রচুর যাত্রী পরিবহন করত। দৈনিক তিনটি ফ্লাইট ছিল জেট এয়ারের। অভ্যন্তরীন সংকটে পড়ে জেট এয়ার বন্ধ হয়ে গেছে। একই সাথে ঢাকা থেকে বন্ধ হয়ে গেছে আবুধাবির রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থা ইত্তেহাদ এয়ার ফ্লাইটও। চট্টগ্রাম থেকে বন্ধ হয়ে গেছে ওমান এয়ারের ফ্লাইট। তবে বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর চালু করেছে ফ্লাই দুবাই। ইত্তেহাদ, জেট এয়ার, ওমান এয়ার দৈনিক দেড় হাজারের মত যাত্রী পরিবহন করত। কিন্তু ফ্লাইট গুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেড় হাজার আসন সংকট তৈরি হয়। এছাড়া ওমরার বাড়তি চাপ পরিস্থিতি আরো নাজুক করেছে। ২০ মে ২০১৯ এর মধ্যে অন্তত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চট্টগ্রাম সহ সারাদেশে ১০টি অতিরিক্ত ফ্লাইট প্রদান করে এবং ওপেন স্কাই ঘোষণা করে সংকট নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে। আটাব নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরবসহ দেশে যওয়ার জন্য বিমানে সিট পাওয়া যাচ্ছে না। টিকেটের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গছে। বিশ হাজার টাকায় দুবাই কিংবা ওমান যাওয়া যেত। সে টিকেট এখন পঞ্চাশ হাজার টাকায়ও মিলছেনা। ঢাকা-রিয়াদ ১৮-২০ হাজার টাকায় টিকেট পাওয়া যেত। গত ৭ মে ৪৫ হাজার টাকায়ও রিয়াদের টিকেট পাওয়া যায়নি। নেতৃবৃন্দ বলেন, টাকা দিয়ে টিকেট না পাওয়ার এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে রেমিটেন্স খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই এ মুহূর্তে ফ্লাইট সংকট কার্যকর উদ্যোগ গ্রহনের জন্য আটাব নেতৃবৃন্দ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। বিজ্ঞপ্তি