এসডিজি বাস্তবায়নে অটিজম বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ চাই

99

অটিজম শিশু-কিশোরদের প্রতিভা বিকাশ, দক্ষতা বৃদ্ধি ও তারুণ্যে পদার্পনের পর শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত কার্যক্রম প্রয়োজন। ভিন্ন ভিন্নভাবে সক্ষম বিশেষ ব্যক্তিদের বহুমাত্রিক উন্নয়নের বিকল্প নেই। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে অটিজম বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ সমূহের ফলপ্রসূ বাস্তবায়ন জরুরী বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোঃ নুরুল আলম নিজামী। চট্টগ্রামের সেহের অটিজম সেন্টারের উদ্যোগে সেন্টার প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসব ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন মোঃ নুরুল আলম নিজামী । সেন্টারের কার্যনির্বাহী পরিচালক তাবাস্সুম জেরিনের সভাপতিত্বে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজ সেবা অধিদপ্তর, চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, রোটারিয়ান তাহমিনা খান জামান, কলামিস্ট সৈয়্যদ মোহাম্মদ জুলকরনাইন, সম্মিলিত সামাজিক সংগঠন পরিষদের সহ-সভাপতি নবাব হোসেন মুন্না, রোটারিয়ান সাইদুল করিম, তরুণ উদ্যোক্তা লায়ন এম এ হোসেন বাদল, বান্দরবান নাইক্ষংছড়ি কলেজের অধ্যাপক জসিম উদ্দিন, ডেল্টা ইমিগ্রেশনের সিইও মো. আলমগীর, সংগঠক নোমান উল্লাহ বাহার, শাহানা ইয়াসমিন মানিক প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. নুরুল আলম নিজামী আরও বলেন, ভিন্ন-ভিন্নভাবে সক্ষম অটিজম আক্রান্তদের জন্য প্রশিক্ষণ নিশ্চিতকরণ এবং তাদের বিষয়ে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। পারিবারিক সচেতনতা বৃদ্ধি, শিক্ষা-স্বাস্থ্য-কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের জন্য অত্যধিক সুযোগ-সুবিধা প্রসারিত করতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন করতে হলে অটিজম আক্রান্তদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি ও সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাদের দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মক্ষেত্রে অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সুসংহত হবে। আলোচনা পর্ব শেষে পিঠা উৎসব ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি