সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের অধীন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি), মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের আলিম ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীন সমমানের পরীক্ষা আজ শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ পরীক্ষা চলবে। আর ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১৯০টি কেন্দ্রে মোট ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৬৭ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানিয়েছে, প্রথমে প্রশ্নপত্রের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) অংশ ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক অংশের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে বলে নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড।
চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানিয়েছে, এবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে অংশ নিচ্ছে মোট ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৬৭ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এই শিক্ষাবোর্ড থেকে মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার ২২১ জন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। বছরের ব্যবধানে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৬৪৬ জন বেড়েছে।
এবছর মোট ১৯০টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী বাড়ার পাশাপাশি কেন্দ্রের সংখ্যাও ১১টি বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। ২০১৮ সালে ১ হাজার ২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এবার সেই সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৩০টি হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় ৩৪টি কেন্দ্রে ১৮৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৫ হাজার ৩৪৭ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড থেকে মানবিক বিভাগের ৫১ হাজার ৫৭ জন, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩৩ হাজার ৫৩৯ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে অংশ নেবে ৬৫ হাজার ২৭১ জন।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অপেক্ষায় থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮১ হাজার ১০৮ জন ছাত্রী এবং ৬৮ হাজার ৭৫৯ জন ছাত্র। অর্থাৎ ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা ১২ হাজার ৩৪৯ জন বেশি।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান বলেন, পরীক্ষার মান নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রতি কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনসহ বোর্ডের ১০টি বিশেষ ভিজিলেন্স ও ৭০টি ভিজিলেন্স টিম কাজ করবে। প্রতিবারের মতো এবারও বোর্ডের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের ঝটিকা টিম কেন্দ্র পরিদর্শন করবে। পরীক্ষার সরঞ্জাম পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধানদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
