এবারও কোরবানিতে পশুর সঙ্কট হবে না

64

আসন্ন ঈদুল আযহা সামনে রেখে চট্টগ্রামে খামারে গবাদি পশু মোটাতাজা করছেন খামারিরা। গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া মিলে চট্টগ্রামে এবার ৬ লাখ ৮৯ হাজার ২২টি পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রামে এবার মোট পশু জবাইয়ের টার্গেট করা হয়েছে ৭ লক্ষ ৩১ হাজার। চাহিদার অনুপাতে যোগান ঠিক থাকায় এবারও চট্টগ্রামে কোরবানির ঈদে পশুর সংকট হবে না। তাছাড়া করোনাকালীন এ সময়ে চাহিদারও কোনো তারতম্য হবে না বলে মনে করছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
এবার কোরবানিতে পশুর চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লক্ষ ৩১ হাজারটি। গতবছর এই চাহিদা নির্ধারিত ছিল ৭ লাখ ২০ হাজার ৯৫৭টি। চাহিদার বিপরীতে মোটাতাজা করা হয় ৬ লাখ ৮৯ হাজার ২২টি পশু। এর মধ্যে গবাদিপশু ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫৭২টি, মহিষ ৫৭ হাজার ১৩১টি, ছাগল ও ভেড়া ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ২১০টি এবং অন্যান্য পশু ১০৯টি। গতবছর এই চাহিদা নির্ধারিত ছিলো গরু ৪ লাখ ১৪ হাজার ৩৮৭টি, মহিষ ৪৮ হাজার ২৮৪টি, ছাগল-ভেড়া ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৪৮টি।
জেলা প্রাণি সম্পাদক কর্মকর্তা ডা. মো. রেয়াজুল হক বলেন, চট্টগ্রামে পশুর কোন সংকট হবে না। চাহিদা ও যোগান এখানে সমান সমান। চট্টগ্রামে কোরবানি উপযোগী প্রচুর পশু মজুদ রয়েছে। চট্টগ্রামের পশু ছাড়াও প্রতিবছরের ন্যায় পাবনা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলা ও আমাদের তিন পাবর্ত্য জেলার পশু আসবে। অভ্যন্তরিণভাবে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ।
প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের এক তালিকায় দেখা গেছে, চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় ২৬৫টি, সীতাকুÐে ১৪০, স›দ্বীপে ৯০, ফটিকছড়িতে ২৭০, রাউজানে ২৬৪, রাঙ্গুনিয়ায় ২২৫, হাটহাজারীতে ৩০৩, বোয়ালখালীতে ১৬৯, পটিয়ায় ৫৩৯, চন্দনাইশে ৫৬০, আনোয়ারায় ৪০০, সাতকানিয়ায় ২২৫, লোহাগাড়ায় ৪৫০, বাঁশখালীতে ১৬৯, নগরের কোতোয়ালী থানায় ৭৫, কর্ণফুলী থানায় ৪৭৫, ডবলমুরিংয়ে ৮৪ ও পাঁচলাইশে ৭৫টি মিলে সাড়ে চার হাজারের বেশি খামার রয়েছে। এসব খামারে তখন হৃষ্টপুষ্ট করা হচ্ছিল ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫৭২টি গরু, মহিষ ৫৭ হাজার ১৩১টি, ছাগল ও ভেড়া ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ২১০টি এবং অন্যান্য পশু ১০৯টি।
জেলা প্রাণি সম্পাদক কর্মকর্তা ডা. মো. রেয়াজুল হক বলেন, করোনার কারণে কোরবানির সংখ্যা কম হওয়ার সম্ভাবনা আমরা মনে করছি না। কারণ এখন বড় লোকরা বেশি পশু কোরবানি দিবে। আবার যাদের করোনায় বিভিন্ন সমস্যা হয়েছে তারা হয়তো কম দিতে পারে। সব মিলিয়ে কোরবানির সংখ্যাটা ঠিক থাকবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে বিত্তবান মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়ায় বড় ও সুন্দর গরুর চাহিদা থাকে। সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে দেশি মাঝারি আকারের গরুর। নিরাপদ গো-মাংস উৎপাদনের লক্ষ্যে আমরা খামারিদের উদ্বুদ্ধ করেছি।
চন্দনাইশে, পটিয়া, আনোয়ারা, লোহাগাড়া, কর্ণফুলী উপজেলায় খামারের সংখ্যা বেশি হলেও সকল উপজেলাতেই অনেক বাড়িতে গরু-ছাগল লালন পালন করা হচ্ছে। সম্ভাব্য পশুর তালাকায় আসবে এসব গৃহস্থ পশুগুলোও। তাছাড়া খামারির সংখ্যা কম হলেও মীরসরাই, স›দ্বীপ, ফটিকছড়িতে বেশি সংখ্যক পশু রয়েছে।