এবাদত বন্দেগিতে পবিত্র শবে বরাত পালিত

54

রাতভর মসজিদে মুসল্লিদের নামাজ আদায় আর এবাদতের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে ‘সৌভাগ্যের রজনী’ হিসেবে বিবেচিত পবিত্র শবে বরাত। গত রবিবার দিবাগত পুণ্যময় এ রাতে নগর ও জেলার মসজিদ এবং দরগাহ-মাজারে ছিল মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়। মহিমান্বিত এই রাতে আল্লাহ্তাআলার বিশেষ অনুগ্রহ ও ক্ষমার অপার সুযোগ লাভের আশায় মসজিদে মসজিদে মুসল্লির ঢল নামে। বাড়তি চাপ সামলাতে কোথাও কোথাও মসজিদের ছাদ কিংবা সংলগ্ন সড়কেও নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। আল্লাহ্র নৈকট্য হাসিলে রাতভর নামাজ-এবাদতে মশগুল ছিলেন তারা।
নগরীর পুরাতন জেল রোডে অবস্থিত হজরত শাহসুফি আমানত খান (র.) দরগাহে মাগরিব নামাজের পর থেকে মুসল্লিদের সমাগম বাড়তে থাকে। রাত বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়েই যেন ভিড় বেড়েছে দরগাহ-মাজারগুলোতে। একইধরণের ভিড় দেখা গেছে, হজরত গরীবুল্লাহ শাহ (র.), মিছকিন শাহ (র.), বদনা শাহ (র.), হজরত হাফেজ মুনির উদ্দিন (র.), নজির শাহ (র.) মাজার, কাট্টলীর মঈনুদ্দিন শাহ মাজার, কর্ণেলহাট জামে মসজিদ, বিশ্বাসপাড়া জামে মসজিদ, কালুশাহ দরগাহ্, ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার শরিফ, আনোয়ারার শাহ মোহছেন আউলিয়া (র.)- এর দরগাহে। ফজরের নামাজ আদায়ের পর মানবজাতির কল্যাণ ও শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন মুসল্লিরা। এরপর তবারক নিয়ে নিজ নিজ বাড়িমুখো হতে দেখা গেছে তাদেরকে।
শাহসুফি আমানত খান (র.) দরগাহ শরীফের সাজ্জাদানশীন শাহজাদা বেলায়েত উল্লাহ খান (ম. জি. আ.) জানান, পূণ্যময় ও সৌভাগ্যের এ রাতে মহান রাব্বুল আলামিন ক্ষমা, জীবিকা, বিপদগ্রস্তদের আহŸান করেন। প্রিয় বান্দাদের মধ্যে সবকিছু বন্টন করেন। এ রাত হচ্ছে আল্লাহ্র নৈকট্য হাসিলের রাত। পবিত্র শবে বরাতে দিনের শুরু থেকেই শবে বরাতের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা, খতমে কোরআন, মিলাদ, কিয়াম, জিকির, তাহাজ্জুতসহ বিভিন্ন ধরনের নফল নামাজ আদায় ও মোনাজাতের ব্যবস্থা করা হয়। রাত জেগে মুসল্লিরা যাতে নামাজ আদায় ও এবাদত করতে পারেন সেজন্য সব ধরণের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়।
শাহ সুফি আমানত খান ফাউন্ডেশন আয়োজিত পবিত্র শবে বরাতের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা পরিচালনা করেন শাহজাদা সৈয়দ মো. হাবীব উল্লাহ খান মারুফ। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন শাহজাদা আরিফ উল্লাহ খান তায়িফ, শিল্পপতি তানভীর খান, মুফতি আল্লামা জহিরুল হক, আল্লামা মো. মঈনুদ্দিন, পরিবহন নেতা আলী আকবর প্রমুখ।