এডিস মশা নিধন চসিকের ক্রাশ প্রোগ্রাম সফল হোক

70

দেশব্যাপী ডেঙ্গু এখন এক আতংকের নাম। এ ডেঙ্গু প্রায় সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আতঙ্ক বিরাজ করছে সর্বত্র। সময় থাকতে কর্পোরেশনগুলো এডিস মশা নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ক্রমান্বয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। রোগীর পাশাপাশি আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে মারা গেছেন ৮/৯ জন চিকিৎসক। সারাদেশের তুলনায় ভয়াবহ পরিস্থিতি রাজধানী ঢাকার। হাসপাতালগুলোতে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। বারান্দায় ও মেজেতে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃতের মধ্যে মহিলা ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। চট্টগ্রামে ঢাকার তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কম। তারপরও চসিকসহ প্রশাসনের উদ্যোগের কমতি নেই। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। ঔষধ ছিটানো হচ্ছে। এডিস মশা নিধনে আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম। এডিসের বিরুদ্ধে নগরীতে এ যুদ্ধ চলবে আজ সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত। মেয়র আ জ ম নাছির বলেছেন ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হবার কোনো কারণ নেই। প্রয়োজন জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। কোরবানির ঈদে ঢাকা থেকে যারা আসবে ঈদ করতে তারা ডেঙ্গু পজেটিভ নিয়ে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু ছড়াতে পারে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এবার ডেঙ্গু এসেছে ভিন্ন চরিত্র নিয়ে। ইতিপূর্বেকার ডেঙ্গু আক্রান্ত বা ৫/৭ দিন জ্বরে ভোগার পর প্লাটিলেট কমে যেত। শরীরে রেশ দেখা যেত। কিন্তু এবার নীরব ঘাতকের ভ‚মিকায় ডেঙ্গু এসেছে। কোনরকম আভাস না দিয়ে একদিনের জ্বরেই মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। শুধু বাংলাদেশ নয় ফিলিপাইন, থাইল্যান্ডেও মহামারি আকারে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটেছে। ইতিমধ্যে ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন আবিষ্কারের খবর এসেছে। যা শিশু-কিশোরদের জন্য কার্যকর হবে এমন সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে।
আসছে কোরবানি। রাজধানী থেকে ডেঙ্গু নিয়ে অনেকে এসে রোগ ছড়াতে পারে। কোরবানির বর্জ্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। এ অবস্থা যেকোনো মূল্যে চসিকের ক্রাশ প্রোগ্রামকে কার্যকর করতে হবে। অন্যথায় ঢাকার আদলে ডেঙ্গু বিস্তার লাভ করতে পারে। সময় থাকতে সাবধান হতে হবে।