এখন বেরিয়ে যাও আমি কোনো তথ্য দিব না!

89

পেশাগত দায়িত্বপালন করতে গিয়ে গত সোমবার বিআরটিএ, চট্টগ্রাম অফিসের দুর্নীতিবাজ এক কর্মকর্তার বাধা এবং দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন সুপ্রভাত বাংলাদেশ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মোহাম্মদ রফিক। গতকাল বুধবার অভিযুক্ত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক-২ উসমান সরোয়ার আলমের বিরুদ্ধে সংস্থার প্রধান উপ-পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ’র কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী প্রতিবেদক।
সুপ্রভাত প্রতিবেদক রফিক জানান, লাইসেন্স শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উসমান সরোয়ার আলমের বিরুদ্ধে সম্প্রতি একাধিক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ব্যাপক দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ পান তিনি। এরই প্রেক্ষিতে প্রতিবেদন তৈরির লক্ষ্যে গত ৭ অক্টোবর বেলা আড়াইটায় বিআরটিএ কার্যালয়ে উসমানের দপ্তরের সামনে যান। এসময় তার দপ্তরের দরজা খুলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি চাওয়া মাত্রই সুপ্রভাত প্রতিবেদকের ওপর প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হন তিনি। একপর্যায়ে উসমান সরোওয়ার প্রতিবেদক রফিকের সঙ্গে চরম ঔদ্ধত্য আচরণ করে বলেন ‘এখন বেরিয়ে যাও। আমি কোনো তথ্য দিব না। তোমার ক্ষমতা থাকলে কিছু কর। যাও তোমার সাংবাদিক নেতাদের বল গিয়ে।’
উসমানের এমন আচরণে বিস্মিত হন তার সহকর্মীরাও। বিআরটিএ’র কিছু কর্মকর্তা জানান, বছর দুয়েক আগে সহকারী পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া উসমানের আচার-আচরণ ও চলাফেরায় ব্যাপক পরিবর্তন আসে। সেবা নিতে আসা অসংখ্য গ্রাহক প্রতিনিয়ত উসমান কর্তৃক লাঞ্চিত ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অভিযোগ আছে, ঘুষ ছাড়া তিনি কোনো ফাইলে সই করেন না। লাইসেন্স শাখায় তার নিজস্ব একটি চক্র আছে। তাদের মাধ্যমে ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যূ করে প্রতিমাসে উসমান লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে লাইসেন্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে ‘পাশ’ দেখান উসমান।