এক রানের হারে বাদ পড়ার শঙ্কায় ঢাকা ডায়নামাইটস

83

জিততে হলে শেষ দুই বলে দুই ছয় দরকার ঢাকা ডায়নামাইটসের। স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা আন্দ্রে রাসেল সাইফুদ্দিনের ওভারের পঞ্চম বলে ছয় হাঁকিয়ে শেষ আশা বাঁচিয়ে রাখলেও শেষ বলে আর ছয় হাঁকাতে পারেননি এই ক্যারিবীয়। ব্যাটে লেগে চার হলে এক রানের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা।
শেষ চারে খেলতে হলে এই ম্যাচে জয় ছাড়া কোনও পথ ছিল না ঢাকার সামনে। কেননা, ১২ ম্যাচে সমান ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার চার নম্বরে ছিল রাজশাহী কিংস। আজ গ্রুপ পর্বের ১১তম ম্যাচে জিতে শঙ্কাযুক্ত হতে গিয়ে শঙ্কাযুক্ত হয়ে গেল ডায়নামাইটসরা। আগামীকাল রোববার নিজেদের শেষ ম্যাচে খুলনাকে হারাতেই হবে।
মিরপুর শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ভিক্টোরিয়ানসদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ঢাকার অধিনায়ক।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট দিতে থাকে ভিক্টোরিয়ানসের ব্যাটসম্যানরা। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালের ২০ বলে ৩৮ রান ছাড়া বাকি নয় ব্যাটসম্যানের কেউই পার করতে পারেনি ত্রিশের কোটা।
রুবেল হোসেন, সাকিবদের বোলিং তোপে ২০ ওভারে খেললেও সব উইকেট হারিয়ে কুমিল্লা সংগ্রহ করে মাত্র ১২৭ রান।
কুমিল্লার দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ঢাকার টপ অর্ডারের চারজনই বিদায় নেন মাত্র ২৯ রানে। এরপর সুনীল নারিনের ২২ আর কাইরন পোলার্ডের ৩৪ রানে ঘুরে দাঁড়ায় ঢাকা।
নারিনকে আফ্রিদি আর পোলার্ডকে ফেরান সাইফুদ্দিন। তখন দলীয় রান ছিল মাত্র ৭১।
বাকি কাজটা ভালোমতোই সামলে নিচ্ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু ১৯তম ওভারে ওহাব রিয়াজের দ্বিতীয় বলে ক্যাচ আউট হয়েও নো বলের কল্যাণে বেঁচে যায় রাসেল।
শেষ ওভারে যখন ১৩ রান দরকার তখন চোটে পড়া সাইফুদ্দিনকে বোলিংয়ে আনেন ভিক্টোরিয়ানস অধিনায়ক।
কুমিল্লার হয়ে ম্যাচ সেরা সাইফুদ্দিন নেন ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট। এছাড়া মেহেদী হাসান ২টি ও ১টি করে উইকেট নেন ওহাব রিয়াজ, মোশাররফ হোসেন আর শাহীদ আফ্রিদি।
এই ম্যাচসহ টানা পাঁচ ম্যাচে হেরে পয়েন্ট তালিকায় পাঁচ নম্বরেই থেকে গেল ঢাকা। ১১ ম্যাচের ৮টিতে জিতে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় শীর্ষে এখন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।